তিন দফা দাবি আদায়ে ১৭ তম শিক্ষক নিবন্ধনধারী শিক্ষকরা সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা করলে বাঁধা দেয় পুলিশ। এসময় গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় স্থাপনা সচিবালয় এলাকা থেকে আন্দোলনকারীদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করলে তা মানতে অপারগতা প্রকাশ করেন তারা। পরে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ তাদের দিকে ৬টি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
রোববার (১৫ জুন) প্রেস ক্লাব সংলগ্ন সচিবালয়ের ৫ নম্বর ফটকে এই ঘটনা ঘটে। সকালে শিক্ষকরা ‘লংমার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি পালন করেন। পরে দুপুর দেড়টার দিকে তারা সচিবালয় অভিমুখে রওয়ানা হন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সরেজমিনে আন্দোলনকারীদের প্রেস ক্লাব মোড়ে অবস্থান চালিয়ে যেতে দেখা গেছে। এছাড়াও এই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি বর্তমানে থমথমে রয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের ডেপুটি কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, আমরা যতটুকু জেনেছি পাঁচ থেকে ছয় জন আহত হয়েছেন। সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছিল। সচিবালয় অভিমুখে তাদের লংমার্চ কর্মসূচি ছিল। সকাল থেকেই তারা কর্মসূচি পালন করেছেন প্রেস ক্লাবের সামনে। তারপর হঠাৎ দুপুর দেড়টার সময় তারা এখানে আসেন। আমি জেনেছি যে, প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করতেছিল যে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হয়েছে ১৭তম নিবন্ধনধারী।
তিনি আরও বলেন, ওনাদের পাঁচজনকে সচিবালয়ে পাঠিয়েছিলাম যে সচিবালয়ের ওনারা গিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গিয়ে কথা বলে তাদের বিষয়গুলোর আপডেটগুলো জেনে আসুক। তো তাদের এই পাঁচজন গেছে। যাওয়ার পরে ওই পাঁচজন মনে হয় ওখানে তারা এরকম বলছে যে, এখানে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ওখান থেকে যাবেন না তারা বা এর বাইরে আর কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, তারা আবার এইযে লিংক রোডে চলে আসে, লিংক রোডে যথারীতি আমাদের একটা ব্যারিকেড আছে। ব্যারিকেডটা যখন ভাঙার চেষ্টা করে তখন পুলিশ প্রথমে বাধা দেয়, ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করে। কিন্তু এরপরেও তারা মানছিল না, একটু বেপরোয়া হয়ে গিয়েছিল।
মাসুদ আলম বলেন, সচিবালয়ে তো আমরা আসলে যেতেও দিতে পারি না। ওখানে তো ১৪৪ ধারা জারি করা আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের মনে হয় এক দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করতে হয়েছে। এতে আমাদের দুই-একজন পুলিশ সদস্যও সামান্য আহত হয়েছেন।
আন্দোলনকারীদের যে দাবিগুলো তুলেছেন সেগুলো হলো-
১. ১৭তম ব্যাচের নিবন্ধিত প্রার্থীদের জন্য আপিল বিভাগের রায় অনুসারে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অন্তত একবার আবেদন করার সুযোগ দিতে হবে।
২. ১৭তম ব্যাচের বিষয় নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত রাখতে হবে।
৩. আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএ-র সুপারিশ অনুযায়ী দ্রুত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
কেআর/এএমএ/জেআইএম