‘সচিবালয়ে আগুন, টঙ্গী হত্যাকাণ্ড ও ইসকনের আস্ফালন একই সূত্রে গাঁথা’

16 hours ago 7

দেশের স্বার্থবিরোধী ফ্যাসিবাদী আওয়ামী গোষ্ঠী পালালেও তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। সচিবালয়ে আগুন, টঙ্গী হত্যাকাণ্ড ও ইসকনের আস্ফালন একই সূত্রে গাঁথা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের সভাপতি মাওলানা মামুনুল হক।
 
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের ১৫ বছর পূর্তিতে যুব সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। 

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, বাংলাদেশ আজ দুইভাগে বিভক্ত, একভাগে ভিনদেশি দালাল আরেকদিকে দেশপ্রেমিক জনতা। ভিনদেশি চক্র পনেরোটি বছর এক সেবাদাসীকে দিয়ে বাংলাদেশকে জিম্মি করে রেখেছিল। ৫ আগস্টের বিপ্লবের পর তারা সেই কৃতদাসীকে তুলে নিয়ে গেছে। তারপর থেকে একের পর এক নতুন ষড়যন্ত্র করছে। সচিবালয়ে অগ্নিসংযোগ তারই একটি অংশ।

এর সাথে জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আগুন দিয়ে তোমরা বাংলাদেশের কাগজ পুড়িয়ে ফেলতে পারো কিন্তু হাজার মানুষের মনে তোমাদের ব্যাপারে যে ঘৃণা জন্মেছে তা মুছে ফেলতে পারবে না। এর আগে ইসকনকে দিয়ে তাদের বাংলাদেশ ধ্বংসের চেষ্টা প্রকাশ পেয়েছে সাইফুল ইসলাম আরিফের হত্যার মধ্য দিয়ে। টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে যারা রাতের গভীরে ঘুমিয়ে থাকা নিরীহ মুসল্লিদের ওপর হত্যা ও হামলা কাণ্ড ঘটিয়েছে, তারা তাবলিগের সাথী নয়। তারা খুনি ও ভিনদেশি শক্তির অংশ। তাদেরসহ ফ্যাসিবাদের সকল দোসরদের রুখে দিতে দেশপ্রেমিক যুবকদের কাজে লাগাতে হবে।

সমাবেশ থেকে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, দেশবিরোধী শক্তিদের স্পেস দিলে আপনাদের স্পেস কমে যাবে। আপনাদের হাতে সময় সীমিত। এ সময় যথাযথভাবে কাজে লাগান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমিরে মজলিস মাওলানা ইসমাইল নূরপুরী বলেন, শেখ হাসিনার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। সে সন্ত্রাসী ছিল। ২০১৩ সালে জিকিররত মুসুল্লিদের ওপর অতর্কিত হামলা করে অসংখ্য আলেম ও ইসলাম প্রিয় জনতাকে শহীদ করা হয়েছে। আজ অনেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমি মনে করি এখনও নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা এদেশ থেকে দেশের সব কাঠামো ধ্বংস করে পালিয়েছে। সুতরাং যারা বলে হাসিনা আবার ফিরে আসবে, স্পষ্ট করে বলতে চাই, তা কখনো সম্ভব না। তা আমরা হতে দেব না। সরকারের বিভিন্ন সেক্টরে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা রয়ে গেছে, তাদের ধরে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। তাহলেই এ দেশে শান্তি ফিরে আসবে।


সংগঠনের সভাপতি মাওলানা মামুনুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমিরে মজলিস আল্লামা ইসমাঈল নূরপুরী। সংগঠন বিভাগের সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান। প্রকাশনা বিভাগের সম্পাদক মাওলানা রাকিবুল ইসলাম ও মজলিসে শূরা খাসের সদস্য মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ মাহমুদের যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমাদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা কুরবান আলী, মাওলানা আব্দুল আজিজ, মাওলানা শরাফত হুসাইন, মাওলানা মাহবুবুল হক, মাওলানা তোফাজ্জল হুসাইন মিয়াজী, সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা অ্যাডভোকেট শাহিনুর পাশা চৌধুরী, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা নেছারউদ্দীন, বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাদিম আহমদ, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি পরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, মাওলানা শরীফ সাইদুর রহমান ও বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ কামাল উদ্দীন।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ার শিক্ষা সচিব মাওলানা আশরাফুজ্জামান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা, মাওলানা আবু সাইদ নোমান, মাওলানা ফয়সাল আহমাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মাওলানা আব্দুস সুবহান, বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন মাওলানা মামুনুর রশিদ, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ ও বায়তুল মাল বিভাগের সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ বিভাগের সম্পাদক মাওলানা শরীফ হুসাইন, মজলিসে শূরা খাসের সদস্য ও ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা জাহিদুজ্জামান, মজলিস শূরা খাসের সদস্য মাওলানা কারী হুসাইন আহমদ, হাফেজ শহীদুল ইসলাম, মাওলানা আনোয়ার মাহমুদ, মাওলানা মুহাম্মাদ আলী, মাওলানা মাজহারুল ইসলাম ও বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল আশিকুর রহমান জাকারিয়া প্রমুখ।

Read Entire Article