‘সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় গোয়েন্দা সংস্থা ও সরকারের দায় আছে’

13 hours ago 4

সচিবালয়ে আগুন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির জন্য গোয়েন্দা সংস্থা ও সরকারের দায় আছে বলে মনে করে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু সচিবালয়ে অগ্নিদগ্ধ ভবন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সামনে দলীয় প্রতিক্রিয়া তুলে ধরে এ অভিযোগ করেন। এ সময় এবি পার্টির আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর অব. আব্দুল ওহাব মিনার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। 

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, সচিবালয়ে আগুন বাংলাদেশের ইতিহাসের বিরল দুঃখজনক ঘটনা। এর আগে ছাত্ররা বিনা বাধায় সচিবালয়ে ঢুকে পড়ল, আনসাররা আন্দোলন করে নানা বিশৃঙ্খলা তৈরি করল, দুই কলেজের মারামারিতে রক্তপাত হলো, তাবলিগের অন্তঃকোন্দলে লাশ পড়লে-কোনো ঘটনারই সরকার দৃশ্যত আগাম কোনো ব্যবস্থা বা সন্তোষজনক পদক্ষেপ নেয়নি।

মঞ্জু আরও বলেন,  আমরা জেনেছি সরকার এই ঘটনার তদন্তে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খালেদ রহিমকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এর আগে বহু ঘটনার তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও জনগণ এর রিপোর্ট সম্পর্কে কিছু জানতে পারেনি এবার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত আমরা জানতে চাই। দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চাই না কিন্তু ইতোমধ্যেই আমরা শুনলাম, মন্ত্রণালয় দুটি অগ্নিকাণ্ডে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানে বিগত সরকারের ব্যাপক দুর্নীতির নথিপত্র রক্ষিত ছিলে।
 
তিনি বলেন, এই ধরনের নাশকতার আশঙ্কা আমরা আরও করছি। আমরা মনে করছি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালসহ পতিত ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচার সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের নিরাপত্তা অবিলম্বে জোরদার করা দরকার। সরকারকে বিপদে ফেলতে এবং বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে এখানে ধরনের ঘটনা ঘটানো হতে পারে বলে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন। 

সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তরে দলের আহ্বায়ক মেজর মিনার বলেন, আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। আজ আগুনে সচিবালয় ৭ ঘণ্টা ধরে পুড়ছে অথচ দেশের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সংস্থাগুলোর কাছে কোনো তথ্য থাকবে না এটা হতে পারে না। তিনি সেনা প্রধানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সেনাবাহিনী মাঠে থাকতে দেশে এই ধরনের ঘটনা চলতে পারে না। তিনি অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- এবি পার্টির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব এবিএম খালিদ হাসান ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন। 

আরও উপস্থিত ছিলেন- এবি পার্টির সহকারী সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ লোকমান, ইঞ্জিনিয়ার ড. মোহাম্মদ শাহেদ, কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক আশরাফ মাহমুদ রোমেল, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খান, দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসার, কেফায়েত হোসেন তানভীর, যুবপার্টির প্রচার সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন রমিজ, নারায়ণগঞ্জ জেলা আহবায়ক শাহজাহান ব্যাপারী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মশিউর রহমান মিলু, রিপন মাহমুদ, শরণ চৌধুরী সহকেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

Read Entire Article