সন্তানকে কোলে নিয়ে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়েছেন এক মা। এতে ঘটনাস্থলেই মা ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় শিশুটি।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ রেল সড়কের শ্রীপুরের সাতখামাইর বাজার এলাকায় মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মায়ের নাম নাসরিন আক্তার (২৯) ও তার ১১ মাস বয়সী শিশু সন্তান রওজাতুল জান্নাত রাফসা। নাসরিনের স্বামী মো. রাসেলের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার টাঙ্গাবো গ্রামে।
স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে শ্রীপুরের মুলাইদ গ্রামের ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তারা। রাসেল পার্শ্ববর্তী কালার অ্যান্ড ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে কাজ করেন।
রেলওয়ের কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মোহনগঞ্জগামী মহুয়া কমিউটার ট্রেনটি সকাল ১০টার দিকে সাতখামাইর রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করছিল। এসময় নাসরিন আক্তার শিশু মেয়েকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ট্রেন কাছাকাছি এলে তিনি সামনে ঝাঁপ দেন। এতে ইঞ্জিনের আঘাতে নাসরিন আক্তার শিশুসহ প্রায় ৮-১০ ফুট দূরে ছিটকে পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই ওই নারীর মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. সুস্মিতা সাহা বলেন, শিশুটি মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছিল।
নিহতের বড় ছেলে মো. বেলাল আহমেদ নাঈম জানান, বাবার সঙ্গে ঝগড়ার একপর্যায়ে বোনকে কোলে নিয়ে মা সকাল ৬টার দিকে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা জানতে পারি আমরা।
শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ছাইদুর রহমান বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহুয়া এক্সপ্রেস ট্রেন শ্রীপুর থেকে ময়মনসিংহের দিকে যাওয়ার পর সাতখামাইর এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় নারী শিশু হতাহতের ঘটনা ঘটে।
জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশন ফাঁড়ির ইনচার্জ সেতাফুর রহমান বলেন, ট্রেনের ধাক্কায় এক নারী নিহতের খবর পেয়েছি। বিস্তারিত জানতে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
মো. আমিনুল ইসলাম/জেডএইচ/এমএস