ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর বলেছেন, স্বল্প সময়ের ব্যবধানেই দৃশ্যমান হয় অসংখ্য বিচারবহির্ভূত খুনের ঘটনা। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সম্মানীয় শিক্ষক ও মসজিদের ইমামদের ওপর চড়াও হয়ে তাদের ফিল্মি স্টাইলে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করার মতো ন্যক্কারজনক ঘটনাও ঘটেছে দেশের একাধিক জায়গায়। এসব গর্হিত কাজ কেবল ছাত্রদের কীর্তিগাথাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে তা নয়, বরং দেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ভূলুণ্ঠিত হবে নিঃসন্দেহে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর কাওরানবাজারের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জয়নুল আবেদীন জুবাইর বলেন, ছাত্র-জনতার সফল অভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে জনগণ আশা করেছিল যে, জাতীয় জীবনে সুস্থতা ও স্বস্তি ফিরে আসবে। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সরকারের প্রায় ৪ মাস অতিক্রান্ত হতে চললেও তা এখনো গুমরে মরছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতি জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে।
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের ভাইস চেয়ারম্যান এসএম ফরিদ উদ্দীনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান এম ইব্রাহীম আখতারী, শহীদুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম চাঁদপুরী, আতাউল করিম মুজাহিদ, এমদাদুল হক পাটোয়ারী, যুগ্ম মহাসচিব স ম হামেদ হোসাইন, মোশাররফ হোসেন হেলালী, রফিকুল ইসলাম জাফরী, আমজাদ আলী লিটন, মাওলানা নুরুল আমিন, তরিকুল হাসান লিংকন, ছৈয়দ হাফেজ আহমদ, এএসএম কাউসার, মোহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ, আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল হক, উপাধ্যক্ষ মাওলানা নাছির উদ্দীন আনোয়ারী, মাওলানা মহিউদ্দিন তাহেরী, ডা. হাসমত আলী তাহেরী, মাওলানা সরওয়ার, মহিবুর রহমান জালালী, জামাল উদ্দীন, মাওলানা মনির হোসাইন প্রমুখ।
সকাল ৭টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়। পরে খতমে কুরআন, মিলাদ, কিয়াম, আলোচনা সভা ও আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্তি হয়। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সারা দেশে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয় বলে দলের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।