ঢাকার ধামরাইয়ে সোহেল রানা নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ১টার দিকে উপজেলার চৌহাট ইউনিয়নের ছোট ভাকুলিয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সোহেল রানা ধামরাই উপজেলার আমতা ইউনিয়নের ছোট ভাকুলিয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। সে পেশায় একজন কৃষক ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যার দিকে সোহেল তার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে। এমনকি মারামারি ও ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। এরপর সোহেল ক্যারম বোর্ড খেলতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। ক্যারম খেলা শেষে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ি ফিরে ঘুমাতে যান। রাত ১টার দিকে সোহেলের স্ত্রী তার শ্বশুরকে ডেকে বলেন সোহেল মারা গেছেন। স্ত্রী সুরিয়া বেগমের দাবি, তার স্বামী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
আপনারা দুজনে একসঙ্গে ছিলেন, সোহেল যখন গলায় ফাঁস দেন তখন আপনি দেখেননি? নিহতের স্ত্রী সুরিয়াকে এমন প্রশ্ন করলে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন।
এলাকাবাসী জানান, স্বামী-স্ত্রী দুজনই বিভিন্ন মামলার আসামি। তারা একসঙ্গে কারাগারে ছিলেন। সেই সুবাদে তাদের জেল থেকে পরিচয় হয়। তারপর জেল থেকে বের হয়ে তারা বিয়ে করেন। স্বামী-স্ত্রী উভয়ে চুরি, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ। পুলিশ সোহেলের স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সোহেলের মৃত্যুর আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, সোহেল রানার মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে প্রকৃত তথ্য জানা যাবে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সোহেলের বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রসহ পিস্তল রয়েছে। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, সোহেল রানা ডাকাত ছিলেন। তার বাড়ি থেকে চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পিস্তলের বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।