সমুচা না আনায় স্বামীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন স্ত্রী

2 hours ago 3
সমুচা আনতে ব্যর্থ হওয়ায় স্বামীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, স্বামীর পরিবারের বাকি চার সদস্যও হত্যার হুমকি পাচ্ছেন। অভিযুক্ত স্ত্রীর ভয়ে দিন পার করছেন ভুক্তভোগীরা। বিষয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত হয়ে থানা-পুলিশ পর্যন্ত গড়িয়েছে।  জানা গেছে, স্বামীকে সমুচা আনতে বলেন স্ত্রী। কিন্তু তিনি তা আনতে ব্যর্থ হন। এ নিয়ে তুমুল ঝগড়া করেন স্ত্রী। তুচ্ছ এ বিবাদের জেরে পর দিন গ্রাম পঞ্চায়েতে সালিশ ডাকেন স্ত্রী। সালিশে নিজের মা-বাবা ও আত্মীয়স্বজনদের উপস্থিতিতে স্ত্রী স্বামীকে মারধর শুরু করেন। এক পর্যায়ে তাতে যোগ দেন অভিযুক্তের আত্মীয়স্বজনরাও। মারধর ঠেকাতে গিয়ে লাঞ্ছিত হন স্বামীর পরিবারের সদস্যরাও। ভারতের উত্তর প্রদেশের সেহরাপুর উত্তর থানায় এই ঘটনা ঘটে। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) ভুক্তভোগীর মা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। হত্যার চেষ্টার অভিযোগে এফআইআরটি দায়ের করা হয়েছে। খবর এনডিটিভির। পুলিশ জানায়, আনন্দপুরের বাসিন্দা শিবমকে তার স্ত্রী সঙ্গীতা পঞ্চায়েতে লাঞ্ছিত ও মারধর করেন। এ কাজে সঙ্গীতার বাবা-মা উষা ও রামলাদাইতে, মামা রামোতর, প্রাক্তন গ্রামপ্রধান অবধেশ শর্মা সহায়তা ছিল।  সার্কেল অফিসার (সিও) পুরানপুর প্রতীক দাহিয়া জানান, ভুক্তভোগীর মা বিজয় কুমারীর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে আজ বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (বিএনএস) প্রাসঙ্গিক ধারায় হত্যার চেষ্টাসহ একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ অনুসারে, ৩০ আগস্ট সঙ্গীতা তার স্বামীকে সমুচা আনতে বলা এবং তা আনার ঘটনায় বিবাদ শুরু হয়। ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি পরের দিন তার পরিবারকে ডেকে আনেন। যার ফলে ৩১ আগস্ট পঞ্চায়েত চলাকালীন মারধরের ঘটনা ঘটে।  ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে ভুক্তভোগী এবং তার পরিবারের সদস্যদের লাঞ্ছিত হতে দেখা যাচ্ছে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং আরও তদন্ত চলছে।
Read Entire Article