মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের কৃষি, খাদ্য এবং জীবন-জীবিকাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে। আমরা দেখেছি এবার ইলিশ মাছের ডিম কম এসেছে। এর পেছনে কারণ হিসেবে দেখা গেছে সময়মতো বৃষ্টি না হওয়া। নদীগুলো ভরাট-দখল হয়ে যাওয়ার ফলে মাছের চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। হাওরের ভেতর দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। প্রয়োজনে এই রাস্তাগুলো আমাদের ভাঙতে হবে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক নাগরিক সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর আয়োজনে ২য় জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশে গেস্ট অব অনারের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফাউন্ডেশনের ডেপুটি রিজনাল প্রোগ্রাম ডিরেক্টর কাইনান হগটন বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার নতুন যে জ্বালানি নীতি গ্রহণ করছে তা অবশ্যই আশাব্যঞ্জক। টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশকে অবশ্যই পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে রূপান্তরিত হতে হবে। এর জন্য জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর করতে হবে। আমরা এই জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে আনন্দিত বোধ করছি। সমাবেশের সাফল্য কামনা করছি।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদসহ আরও অনেকে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জালাল আহমেদ, চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন; প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক, ভাইস চ্যান্সেলর, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি; মো. শামসুদ্দোহা, চিফ এক্সিকিউটিভ, সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি); শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী, চেয়ারম্যান, সেন্টার ফর রিনিউএবল এনার্জি সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরইএসএল); এবং রাবেয়া বেগম, নির্বাহী পরিচালক, শরিয়তপুর ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (এসডিএস) প্রমুখ।
আরএএস/এমআইএইচএস/এমএস