অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, সরকার সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের প্রতি সমান শ্রদ্ধাশীল এবং ধর্মীয় উৎসবগুলো নির্বিঘ্নে পালনের জন্য সব সময় সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর বাসাবো ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে কঠিন চীবরদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এ কথা বলেন বলে তথ্য অধিদপ্তরের এক বিবরণীতে জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, কঠিন চীবরদান উৎসব শুধু ধর্মীয় নয়; এটি শান্তি, সম্প্রীতি ও গণতন্ত্রের বার্তা বহন করে।
জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন গণতন্ত্রের অন্যতম ভিত্তি। এ জন্য শান্তিপূর্ণ ও সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে সবার দায়িত্বশীল সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বিভ্রান্তিকর তথ্য ও বিশৃঙ্খলা থেকে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য একটি অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা, যাতে জনগণ নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
কঠিন চীবরদান অনুষ্ঠান সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতায় বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট উপাসক-উপাসিকা কার্যনির্বাহী পরিষদের সার্বিক সহযোগিতায় দানোত্তম কঠিন চীবরদান অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা নিঃসন্দেহে গৌরব ও মর্যাদার বিষয়। এ আয়োজন বৌদ্ধদের ঐতিহ্যবাহী কঠিন চীবরদানকে জাতীয়ভাবে নতুন মাত্রা ও তাৎপর্য দেবে এবং বাংলাদেশি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কাছে সমাদৃত হবে বলে তিনি আশা করেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা এ আয়োজনে অংশ নেন। দিনব্যাপী ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বৌদ্ধ ভিক্ষুরা ধর্মীয় দেশনা দেন।
কঠিন চীবরদান ও বৌদ্ধ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের অধ্যক্ষ বুদ্ধপ্রিয় মহাথের। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার সভাপতি ভদন্ত জ্ঞানানন্দ মহাথের, উপ সংঘ-নায়ক রতনশ্রী মহাথের, মিরপুর শাক্যমুনি বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত প্রজ্ঞানন্দ মহাথের, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান ভবেশ চাকমাসহ বিভিন্ন গুণীজন উপস্থিত ছিলেন।
এমইউ/একিউএফ/এমএস

3 hours ago
5









English (US) ·