প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সংগীত শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিল করায় সরকারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে জাতীয় মূল্যবোধ সংরক্ষণ পরিষদ। সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে আপামর সাধারণ মানুষের প্রত্যাশার প্রতিফলন হিসেবে উল্লেখ করার পাশাপাশি অবিলম্বে প্রাথমিক স্তরে ‘ধর্মীয় শিক্ষক’ নিয়োগের জোর দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় মূল্যবোধ সংরক্ষণ পরিষদ জানায়, প্রাথমিক শিক্ষা হলো চরিত্র, নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধ গঠনের মূলভিত্তি। শিক্ষার এই স্তরে ধর্মীয় মূল্যবোধ পরিপন্থি যে কোনো সিদ্ধান্তই অগ্রহণযোগ্য। প্রাথমিকের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকা সত্ত্বেও নতুন করে সংগীত শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়াটা অযৌক্তিক ছিল। জাতীয় মূল্যবোধ সংরক্ষণ পরিষদ বিশ্বাস করে সরকার জনগণের এই অনুভূতি ও সামাজিক বাস্তবতাকে বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করায় সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা আরও শক্তিশালী হবে।
অন্যদিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য নিজ নিজ অবস্থান থেকে যারা আন্দোলন ও বিভিন্নভাবে অবদান রেখেছেন যেমন উলামায়ে কেরাম, শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী, গণমাধ্যমকর্মী, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন এবং সব সচেতন নাগরিক ও অভিভাবকদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও অশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে সংগনঠনটি।
একই সঙ্গে এই স্বাগতম জানানোর পাশাপাশি জাতীয় মূল্যবোধ সংরক্ষণ পরিষদ সরকারের কাছে জরুরি কয়েকটি দাবি পেশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে যেহেতু প্রাথমিকে ধর্ম শিক্ষার বই ও পরীক্ষা বাধ্যতামূলক তাই অবিলম্বে প্রাথমিকে ‘ধর্মীয় শিক্ষকের পদ সৃজন করে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন’ করার দাবি জানানো হয়েছে। ট্রান্সজেন্ডারসহ ধর্মীয় মূল্যবোধবিরোধী সব মতবাদের অনুপ্রবেশ রোধে প্রয়োজনীয় নীতিগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
এই বিবৃতিতে যারা স্বাক্ষর করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ধর্মভিত্তিক রাজনীতিক ও শিক্ষাবিদরা। তারা হলেন- বাংলাদেশ জামায়াতের ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন, খেলাফত মজলিস বাংলাদেশের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের মাওলানা মাহফুজুল হক।

7 hours ago
7









English (US) ·