সরকারকে স্মারকলিপি দিতে যমুনা অভিমুখে জামায়াতসহ ৮ ইসলামি দল

12 hours ago 6

জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট ও জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারিসহ পাঁচ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি ইসলামি দল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিতে পদযাত্রা নিয়ে যমুনা অভিমুখে অগ্রসর হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড় থেকে এ পদযাত্রা শুরু হয়। পদযাত্রায় দলগুলোর শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ সবস্তরের নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছেন।

এর আগে সকালে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রাজধানীর শাপলা চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে পুরানা পল্টনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হন জামায়াত নেতাকর্মীরা। সেখানে অন্য ইসলামি দলগুলোও মিছিল নিয়ে জড়ো হয়।

সরকারকে স্মারকলিপি দিতে যমুনা অভিমুখে জামায়াতসহ ৮ ইসলামি দল

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলগুলোর শীর্ষ নেতারা গণভোট, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি ও জাতীয় নির্বাচন ঘিরে সারাদেশে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তথা নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির বিষয়ে সরকারকে তাগিদ দেন।

গতকাল বুধবার আগারগাঁওয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমরা লিখিতভাবে স্মারকলিপি দেবো। আমাদের দাবি আগের মতোই একেবারে সুস্পষ্ট, গণভোট যেন অবশ্যই নির্বাচনের আগে হয় এবং পৃথক দিনে হয়।

সরকারকে স্মারকলিপি দিতে যমুনা অভিমুখে জামায়াতসহ ৮ ইসলামি দল

দলগুলোর পাঁচ দফা দাবি হলো—জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং ওই আদেশের ওপর নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে বা উচ্চকক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকারের সব জুলুম–নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং ‘স্বৈরাচারের দোসর’ জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

ইসলামি আটটি দলের মধ্যে রয়েছে—জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।

আরএএস/এমকেআর/জিকেএস

Read Entire Article