সরকারি কলেজের প্যাডে বিয়ের দাওয়াতপত্র

7 hours ago 6

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার আলিফ সোবহান চৌধুরী সরকারি কলেজের সরকারি প্যাডে বিয়ের দাওয়াতপত্র প্রকাশকে কেন্দ্র করে বিতর্কের জন্ম হয়েছে। ঘটনাটি এখন হবিগঞ্জের শিক্ষাঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

জানা যায়, গত ২৭ অক্টোবর কলেজের অধ্যক্ষ মো. আমির উদ্দিন ও প্রভাষক মো. আব্দুল হাই ভুঁইয়া স্বাক্ষরিত একটি দাপ্তরিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কলেজের হিসাবরক্ষক মো. মোহিত মিয়ার (গ্রাম-বনগাঁও) ছোট ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান আগামী ৩১ অক্টোবর (শুক্রবার) ও বৌভাত ১ নভেম্বর (শনিবার) অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে কলেজের সব শিক্ষক ও কর্মচারীরক দাওয়াত দেওয়া হলো।

বিজ্ঞপ্তিটি কলেজের প্যাডে প্রকাশিত হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে এবং বিতর্কের জন্ম দেয়। শিক্ষক, অভিভাবকসহ স্থানীয় মহলে বিষয়টি নিয়ে তীব্র সমালোচনা ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অনেকেই বলেছেন, এটি সরকারি দপ্তরের প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ও নিয়ম-নীতির পরিপন্থি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের একজন প্রভাষক বলেন, এটি একটি সরকারি কলেজ। সরকারি প্রতিষ্ঠান যখন অফিসিয়াল প্যাডে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সরকারি নির্দেশনার মর্যাদা পায়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে স্মারক নম্বরও উল্লেখ আছে, অর্থাৎ এটি এখন কলেজের দাপ্তরিক নথিতে অন্তর্ভুক্ত। তাই এই ‘বিয়ের দাওয়াত’ আসলে একটি সরকারি নির্দেশনার মতোই দাপ্তরিকভাবে সংরক্ষিত হয়েছে। এটি সম্পূর্ণরূপে বেআইনি ও প্রশাসনিক অনিয়ম।

এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মো. আমির উদ্দিন বলেন, বিজ্ঞপ্তিটি ভুলবশত অফিস প্যাডে হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটি অফিস প্যাড ছাড়া সাধারণ সাদা কাগজে হওয়ার কথা ছিল। এ ধরনের ঘোষণা দেওয়া যায় কি না, তা আমার জানা নেই। তবে এ ধরনের কাজ ভুলবশত ঘোষণা দেওয়ায় সবার কাছে অনুতপ্ততা প্রকাশ করছি।

প্রশাসনিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারি প্রতিষ্ঠানের দাপ্তরিক প্যাড কেবল সরকারি কার্যক্রম, নির্দেশনা বা দাপ্তরিক যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়। ব্যক্তিগত আমন্ত্রণ বা পারিবারিক অনুষ্ঠানের জন্য এমন ব্যবহার স্পষ্টতই অনুচিত ও বিধিবহির্ভূত।

এ বিষয়ে জানতে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীনকে মোবাইলে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি। 

Read Entire Article