অন্তর্বর্তী সরকারের প্রত্যেক উপদেষ্টা দুর্নীতি করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান।
তিনি বলেন, ‘তারা আখের গোছাতে ব্যস্ত। ডিসি নিয়োগ থেকে শুরু করে সব কিছুতেই দুর্নীতির ছোঁয়া লেগে আছে। ১৬ বছর বিএনপি-জামায়াতের তকমা লাগানো আমলারা এখনো নির্যাতিত ও পদ বঞ্চিত হচ্ছেন।’
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুর ১২টায় ঝিনাইদহ শহরের ফ্যামিলি জোন নামের একটি রেস্তোরাঁয় ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে ২০২৪ সালের রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এবং একটি সফল গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কারে করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় রাশেদ খান এসব এ কথা বলেন।
দেশ থেকে ফ্যাসিবাদের বিলোপ হয়নি। ফ্যাসিস্ট হাসিনার সুবিধাভোগীরা এখন টাকার বিনিময়ে সরকারের সুবিধা ভোগ করছেন বলেও মন্তব্য করেন রাশেদ খান।
তিনি বলেন, এটা গণঅভ্যুত্থানের চেতনা পরিপন্থি। ফ্যাসিবাদ আমলাদের প্রশ্রয় দেওয়ার কারণে সরকার এক বছরেও দৃশ্যমান কোনো সংস্কার বা সফলতা দেখাতে পারেনি।
রাশেদ খান বলেন, ‘চুনোপুঁটিদের নয়; খুনি শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, কামাল (আসাদুজ্জামান খান কামাল) ও শামীম ওসমানদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির দড়িতে ঝোলাতে হবে। এ নিয়ে জাতি কোনো টালবাহানা সহ্য করবে না। প্রয়োজন হলে আরও ১০টি ট্রাইব্যুনাল বসাতে হবে। টাকা না থাকলে জনগণ টাকা দেবে।’
ঝিনাইদহ জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি শাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল জাহিদ রাজন, যুব অধিকারের সভাপতি রাকিবুল হাসান রকিব, যুবনেতা মিশন আলী, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লা আল মামুন, সাধারণ সম্পাদ রায়হান হোসেন রিহান, মাহাফুজ রহমান, হালিম পারভেজ, নাহিদ হাসনান প্রমুখ।
অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে রাশেদ খান বলেন, ‘চলমান সংস্কার, খুনিদের বিচার ও দেশের বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে ড. ইউনূস সরকার হাসিনার পরামর্শে দেশ চালাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশ থেকে মুজিববাদ ও ফ্যাসিবাদের বিলোপ হবে না।’
এনসিপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই দলটি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে। এটা আমার কথা নয়, টিআইবি প্রধান তাদের ‘কিংস পার্টি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। এনসিপি সমর্থিত দুই উপদেষ্টা পদ নিয়ে দেশ চালাচ্ছেন। তারপরও হাসনাত আবদুল্লাহরা ড. ইউনূস সরকারের সমালোচনা করছেন। তাদেরও ভুল ভাঙতে বসেছে।”
শাহজাহান নবীন/এসআর/এমএস