রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ছিদ্দিকুর রহমান সরকার বলেছেন, সর্বোচ্চ আদালতের রায় মেনে আমরা উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করব। এর আগে বসবাসকারীদের সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হবে এবং দ্রুততম সময়ে জলাভূমি উদ্ধারের লক্ষ্যে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজউকের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়নে সাভারের বিলামালিয়া ও বেইলারপুর মৌজায় মেট্রো মেকার্স অ্যান্ড ডেভেলপার্স নির্মিত মধুমতী মডেল টাউন সম্পর্কে করণীয় বিষয়ক আন্তঃসংস্থা এই সমন্বয় সভা করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।
রাজউক চেয়ারম্যান ছিদ্দিকুর রহমান সরকার নাগরিকদের সচেতন করে বলেন, যে কোনো আবাসিক এলাকায় জমি বা ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে রাজউক এর অনুমোদন আছে কিনা তা যাচাই করে নিতে হবে।
এদিকে রাজউকের পক্ষ থেকে জনানো হয়, উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়নের জন্য গৃহীত কর্মসূচি ও করণীয় সম্পর্কিত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, উচ্ছেদ কার্যক্রমে জড়িত বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বেলার সঙ্গে আজকের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমন্বয় সভায় উপস্থিত বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের মধ্যে মতবিনিময়ের পর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, রাজউক কর্তৃক আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে মধুমতী মডেল টাউন প্রকল্পটির উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ, পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে সার্বিক সহায়তা প্রদান করা হবে। রাজউকের সঙ্গে সমন্বয় করে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ওই এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে উচ্ছেদ কার্যক্রম ত্বরান্বিত করবে এবং ভবিষ্যতে রাজউকের অনুমোদন ব্যতীত কোনো স্থাপনায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে না মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। জেলা প্রশাসনের পক্ষে থেকে জানানো হয়, বর্তমানে এই মৌজায় সকল ধরনের নামজারি ও খাজনা আদায় বন্ধ আছে।
সমন্বয় সভায় সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন- রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, সদস্য (উন্নয়ন ও উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) হারুন-অর-রশীদ, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম এবং রাজউকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।