সাংবাদিক এহসান মাহমুদের প্রতি অসদাচরণের প্রতিবাদ

2 months ago 8

সম্প্রতি লেখক ও সাংবাদিক এহসান মাহমুদের প্রতি অসদাচরণের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ৩২ নাগরিক। প্রকাশক সাঈদ বারীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘মহান জুলাই অভ্যুত্থানের স্মরণে গত ১ জুলাই রাজধানীতে একটি রাজনৈতিক দল আয়োজিত অনুষ্ঠানে অসম্মান ও অসদাচরণের শিকার হয়েছেন সাংবাদিক এহসান মাহমুদ। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদ বিরোধী দীর্ঘ আন্দোলনে সোচ্চার থেকেছেন এবং সত্যের পক্ষে কলম ধরেছেন তিনি। তার সঙ্গে এ ধরনের আচরণ আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই চালানো লেখক, শিল্পী, গণতন্ত্রকামী নাগরিক ও সমমনাদের স্তম্ভিত করেছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমাদের বিশ্বাস এ ঘটনা জুলাই অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার বৃহত্তর রাজনৈতিক প্রয়াসের অংশ। সেই বিপ্লবের সাহসী যোদ্ধাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এবং ইতিহাসকে বিকৃত করতে এ ধরনের অপপ্রচার ও অসম্মানের আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে।’

এতে বলা হয়, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে এহসান মাহমুদসহ অনেক লেখক, শিল্পী, অ্যাক্টিভিস্ট জানবাজি রেখে রাজপথে দাঁড়িয়েছেন, দমন-পীড়নের মুখে থেকেও আপস করেননি। দীর্ঘ এ লড়াইয়ে তাদের ব্যক্তিজীবন যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পেশাগত জীবন ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের কোপানলে পড়ে এহসান মাহমুদ বারবার চাকরি হারালেও অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই—এহসান মাহমুদের প্রতি যে আচরণ করা হয়েছে, তা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, মুক্তচিন্তা এবং স্বাধীন মতপ্রকাশ ও সাংবাদিকতার বিরুদ্ধেই এক ধরনের আক্রমণ। আমরা এ আচরণের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’

বিবৃতিতে সম্মতি জানিয়েছেন—
১. আ-আল মামুন, অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
২. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
৩. আর রাজী, সাংবাদিকতার শিক্ষক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
৪. ড. মোশরেকা অদিতি হক, সহযোগী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
৫. সায়মা আলম, সহকারী অধ্যাপক, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
৬. প্রফেসর ড. ইফতিখারুল আলম, আরবী বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
৭. সামিনা লুৎফা, অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
৮. লতিফুল ইসলাম শিবলী, গীতিকবি।
৯. সাইয়েদ আব্দুল্লাহ, অ্যাক্টিভিস্ট।
১০. রাখাল রাহা, লেখক ও সম্পাদক।
১১. সালাহ উদ্দিন শুভ্র, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক।
১২. রাজু আলাউদ্দিন, কবি, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক।
১৩. হাসান রোবায়েত, কবি।
১৪. সাঈদ বারী, প্রকাশক।
১৫. দেলোয়ার হাসান, সাংবাদিক।
১৬. ইসমাঈল হোসেন, সাংবাদিক।
১৭. মৃদুল মাহবুব, কবি।
১৮. কাজল শাহনেওয়াজ, কবি।
১৯. ইকবাল হোসেন সানু, চিত্রশিল্পী।
২০. মোহাম্মদ রোমেল, কবি ও সংস্কৃতিকর্মী।
২১. রেবেকা নীলা, শিক্ষক ও সংস্কৃতিকর্মী।
২২. ফেরদৌস আরা রুমী, লেখক ও অধিকারকর্মী।
২৩. মোহাম্মদ নাজিমউদ্দিন, লেখক ও প্রকাশক।
২৪. বাকী বিল্লাহ, পলিটিকাল অ্যাক্টিভিস্ট।
২৫. অমল আকাশ, সংস্কৃতিকর্মী।
২৬. জিয়া হাশান, কথাসাহিত্যিক।
২৭. আহমেদ স্বপন মাহমুদ, কবি।
২৮. মাহাবুব রাহমান, প্রকাশক।
২৯. পলিয়ার ওয়াহিদ, কবি।
৩০. অস্ট্রিক আর্যু, সাহিত্যিক ও অনুবাদক।
৩১. সাম্য শরিফ, লেখক ও অনুবাদক।
৩২. আমিনুল ইসলাম মামুন, লেখক।

এসইউ/এমএস

Read Entire Article