সাংবাদিক তুরাব হত্যায় ৫ দিনের রিমান্ডে এএসপি দস্তগীর
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত সাংবাদিক এটিএম তুরাব হত্যা মামলার মূল অভিযুক্ত আসামি সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার ও শেরপুর ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাদেক দস্তগীর কাউছারের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় সাদেক দস্তগীর কাউছারকে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের কঠোর নিরাপত্তায় আদালতে তোলা হয়।
পরে পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আব্দুল মোমেন ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রব। তিনি বলেন, সাদেক দস্তগীর কাউছারের ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মুকিত অপি কালবেলাকে বলেন, আলোচিত তুরাব হত্যা মামলার মূল অভিযুক্ত আসামি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাদেক দস্তগীর কাউছারকে আদালতে আনে পিবিআই। ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ মামলায় অন্য আসামিরা অচিরেই আইনের আওতায় আসবে।
এর আগে গত বুধবার বিকেল ৫টায় শেরপুর জেলার একটি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গত ১৭ নভেম্বর রাতে এ মামলার আরেক আসামি কনস্টেবল উজ্জ্বলকে ঢাকা থেকে পিবিআই গ্রেপ্তার করে। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৯ জুলাই সিলেট মহানগরের বন্দরবাজারে কালেক্টরেট মসজিদের পাশের সড়কে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন এটিএম তুরাব। ওইদিন সন্ধ্যায় নগরের ইবনে সিনা হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। সদ্য বিবাহিত তুরাব দৈনিক নয়া দিগন্তের সিলেট প্রতিনিধি ও স্থানীয় দৈনিক জালালাবাদের স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন।
ঘটনার এক মাস পর গত ১৯ আগস্ট নিহতের ভাই আবুল আহসান মো. আজরফ (জাবুর) বাদী হয়ে সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালকে প্রধান করে পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও ২০০-২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।