গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেছেন, দেশপ্রেমিক সাংবাদিকদের সহায়তা ছাড়া ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারকে হটানো সম্ভব ছিল না। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের সময় হাসিনার দোসর পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের গণহত্যার বীভৎস ছবি সাংবাদিকরাই মিডিয়ায় প্রচার করেছিলেন। ফলে হাসিনার পতন ত্বরান্বিত করতে ছাত্র-জনতার জন্য সহজ করে দেয়।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, এ সমাজ-সভ্যতা যতদিন থাকবে সাংবাদিকদের তোলা ছবি ও ভিডিও ফুটেজ বিপ্লবীদের অনুপ্রেরণা যোগাবে। গণহত্যার ভয়াবহ স্মৃতি স্বজনদেরকে আবেগ তাড়িত করবে। দেশ পরিবর্তনে সাংবাদিকদের অবদান সব থেকে বেশি।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী শক্তি সব সময় নিজের আসন ও ক্ষমতা পোক্ত করে রাখতে পদলেহী সাংবাদিক তৈরি করে। শেখ হাসিনাও এর ব্যতিক্রম ছিল না। তার দালাল ও চাটুকার সাংবাদিকরা পেশাদারিত্বের পরিবর্তে চাটুকারিতার পথ বেঁচে নিয়ে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তারা দেশের গণশত্রু। ওই সব দালাল সাংবাদিকদের বিচার করতে না পারলে বিপ্লবীদের সঙ্গে প্রতারণা করা হবে।
রাশেদ খান বলেন, ছাত্র-জনতার গণবিপ্লব একটি দুর্নীতি, লুটপাট, দখলদারিত্ব ও বৈষম্য বিরোধী সমাজ বিনির্মাণে প্রেরণা যোগাবে। সে লক্ষ্যে গণঅধিকার পরিষদ কাজ করে যাচ্ছে। হাসিনা পালিয়ে গেলেও প্রশাসনের পরতে পরতে তার দোসররা বসে আছে। যারা ছাত্রদের গুলি করে মেরেছে তাদের এখনো ধরা হয়নি। এ কারণে সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনে কোনো গতি নেই। জেলায় জেলায় দুর্নীতিবাজ ও আওয়ামী লীগের দোসররা বহাল রয়েছেন।
সভায় গণঅধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি রাকিবুল হাসান, সংগঠনের ঝিনাইদহের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল জাহিদ রাজন, যুব অধিকার পরিষদের রাকিবুল হাসান রাকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিশন আলী, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ঢাকা মহানগর উত্তর গণঅধিকার পরিষদ রিহান হাসান রায়হান উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/আরএইচ/এমএস