ব্যাট করার সুযোগ পেলেন মাত্র ৯ বল। তার মধ্যে ৫টিকে পাঠালেন বাউন্ডারির বাইরে। ৪টি চার ও একটি ছক্কা। ৯ বলে অপরাজিত থাকলেন ২৬ রানে। সাকিব ঝড়ে শেষ মুহূর্তে অ্যান্টিগা ও বারবুডা ফ্যালকন্সের স্কোর দাঁড়ালো ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রানে; কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হলো না।
সিপিএলের এলেমিনেটর রাউন্ডে নিকোলাস পুরান ও অ্যালেক্স হেলসের ব্যাটিং ঝড়ে ট্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের কাছে ৯ উইকেটের হারে বিদায় নিলো সাকিবের অ্যান্টিগা।
গায়ানার প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান করে অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকন্স। জবাবে ১৭.৩ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ট্রিনবাগো নাইট রাইনডার্স এবং পৌঁছে যায় ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) কোয়ালিফায়ার-২ এ। ৫৩ বলে ৯০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে নিকোলাস পুরান ম্যাচ শেষ করে আসেন অপরাজিত থেকে।
শনিবার প্রভিডেন্সে ফ্যালকনসকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে শুরু থেকেই নাইট রাইডার্স বোলাররা চাপে রাখে। সৌরভ নেত্রাভালকার ৪ ওভারে ২৩ রানে নেন ৩ উইকেট, আর উসমান তারিক ২ উইকেট নেন মাত্র ১৯ রানে। আন্দ্রে রাসেলও ঝলক দেখান (২/৩০)।
ফ্যালকনসের হয়ে আন্দ্রিজ গউস ৬১ ও আমির জাঙ্গু ৫৫ রান কর কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও নির্ধারিত ২০ ওভারে দল থামে ৮ উইকেটে ১৬৬ রানে। শেষদিকে সাকিব আল হাসানের দ্রুত ২৬ রানের ক্যামিও তাদের লড়াইয়ে রাখলেও তা যথেষ্ট হয়নি।
জয়ের টার্গেট ছিল ১৬৭ রানের, যা পুরান-হেলসের ব্যাটিংয়ে রূপ নেয় একতরফা খেলায়। ওপেনার কলিন মুনরো ১৪ রান করে দ্রুত আউট হলেও হেলস এবং পুরান মিলে প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতেই দেয়নি।
হেলস খেলেন ৪০ বলে অপরাজিত ৫৪ রান, আর পুরান খেলেন ৫৩ বলে ঝড়ো ৯০ রানের ইনিংস, যেখানে ছিল ৮টি ছক্কা ও ৫টি চার। তাদের জুটিতে ১৮তম ওভারে জয় নিশ্চিত করে নাইট রাইডার্স (১৬৮/১)।
এই জয়ের ফলে নাইট রাইডার্স এখন কোয়ালিফায়ার-২ এ খেলবে, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হবে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স অথবা সেন্ট লুসিয়া কিংস। আরেকটি জয় পেলেই তারা চলে যাবে ফাইনালে, যেখানে অপেক্ষা করছে রেকর্ড পঞ্চম সিপিএল শিরোপার স্বপ্ন।
আইএইচএস/