সাত কলেজ নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপ গুজব ছড়াচ্ছে: শিক্ষা উপদেষ্টা

10 hours ago 3

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) বলেছেন, সাত কলেজ নিয়ে একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় হবে। তবে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি ও ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে। সেগুলো নিয়ে নানারকম দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে। বিভিন্ন গ্রুপ গুজব ছড়াচ্ছে যেটা মোটেই কল্যাণকর নয়।

তিনি বলেন, ‘এটি একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। আমরা দ্রুততার সঙ্গে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি চূড়ান্ত করবো। সম্ভাব্য নিয়ম, নীতি ও উৎসাহের মধ্যদিয়ে আমরা এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছি।’

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় শিক্ষা সচিব রেহানা পারভীনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সাত কলেজ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতেই সাত কলেজ নিয়ে উদ্যোগটা নেওয়া হয়েছে। অবশ্যই এসময় সাত কলেজের ছাত্রছাত্রীদের দাবিদাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই উদ্যোগটা নেওয়া হয়েছে। যাতে বিশেষায়িত একটা বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে। যেখানে মানসম্মত শিক্ষা, সময়মতো পরীক্ষা নেওয়া ও ফল প্রকাশ। এটার মূল সমস্যা সৃষ্টি হলো যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন হলো।

তিনি বলেন, এ সমস্যা সমাধানের জন্য সিরিজ সভা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) উদ্যোগে। মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি খুব নিবিড়ভাবে কাজ করেছিল। যেখানে এমন কোনো অংশীদার ছিল না যে যারা অংশ নেননি। ইউজিসি থেকে আমাকে বলা হয়েছে, সেগুলোর লিখিত ও অডিও ডকুমেন্টস আছে। সেখানে কারা কারা ছিলেন, কোন কোন প্রতিষ্ঠান, কোন কোন পেশার লোকজন ছিলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে তারা একটি প্রতিবেদন আমাকে দেন যেটা আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর পাই৷

উপদেষ্টা আবরার বলেন, সেই প্রতিবেদন একটা বড় বিষয় হলো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় করতে হলে একটা আইন প্রণয়ন করতে হয়। ওই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে ইউজিসি একটা আইন প্রণয়ন করে আমাকে দিয়েছে। আমরা সাড়ে ৪ হাজারের মতো মতামত নিয়েছি অনলাইনে। এছাড়া লিখিতভাবে বিভিন্ন লোকজন আমাদের কাছে মতামত দিয়েছেন। সেগুলো গত ১৫ থেকে ২০ দিন ধরে যাচাই-বাছাইয়ের করছে মন্ত্রণালয়ের ১২ জন। আশা করছি, আগামী ২০, ২১ ও ২২ অক্টোবর সভার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে, সেখানে এসব মতামত আমরা উপস্থাপন করবো। তারপর আলাপ-আলোচনা করে ড্রাফট করে আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের জন্য পাঠাবো।

উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে কোনো রকম ব্যত্যয়, অবহেলা, ফেলে রাখা মোটেই সেটা হচ্ছে না। একই সঙ্গে পত্রপত্রিকায় যেসব দাবি দাওয়া আসছে সেগুলো নিয়ে আমরা সংবেদনশীল। আশা করি, এটা নিয়ে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি, কেন কিছু কিছু জিনিস নাই সেগুলো নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে। সেগুলো নিয়ে নানা রকম দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে। বিভিন্ন গ্রুপ গুজব ছড়াচ্ছে যেটা মোটেই কল্যাণকর না। মোটেও গ্রহণযোগ্য না এবং পীড়াদায়ক।

তিনি বলেন, সে কারণেই দ্রুততার সঙ্গে স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে আলোচনা করে চূড়ান্ত করবো৷ যতটুকু সম্ভব নিয়মনীতি ও উৎসাহের মধ্যদিয়ে আমরা এটা করছি। এটা খুব চ্যালেঞ্জিং কাজ। এজন্য সব স্টেকহোল্ডার ও মিডিয়ার সংবেদনশীল হতে হবে।

এমএএস/এমএএইচ/এএসএম

Read Entire Article