সাত মাসে এজেন্সি-দালালের প্রতারণায় সৌদি থেকে ফিরলেন ২৬০০০ কর্মী

2 weeks ago 13

চলতি বছরের (২০২৫) জানুয়ারি থেকে জুলাই— এ সাত মাসে সৌদি আরবে গেছেন ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৪৬৪ জন বাংলাদেশি কর্মী। এর মধ্যে পুরুষ কর্মী ৩ লাখ ৭১ হাজার ৭১৬ জন এবং নারী ২১ হাজার ৭৪৮ জন। এসময়ে প্রতারণার শিকার হয়ে দেশে ফিরেছেন প্রায় ২৬ হাজার কর্মী।

বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ওয়েবসাইটের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের একই সময়ে (২০২৪ সালের জানুয়ারি-জুলাই) সৌদি গিয়েছিলেন তিন লাখ এক হাজার ৮৮৩ জন পুরুষ কর্মী। অর্থাৎ এক বছরে পুরুষ কর্মী সৌদি যাওয়ার সংখ্যা বেড়েছে ৬৯ হাজার ৮৩৩ জন। তবে নারী কর্মী সংখ্যা কিছুটা কমেছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি-জুলাই সময়ে সৌদি গিয়েছিলেন ২১ হাজার ৯২৩ জন নারী, যা চলতি বছরের একই সময়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৭৪৮ জনে।

অন্যদিকে, অসাধু রিক্রুটিং এজেন্সি ও দালালের প্রতারণায় অনেক কর্মী সৌদি থেকে সর্বস্ব হারিয়ে দেশে ফিরছেন। পাশাপাশি সৌদির কঠোর শ্রম আইন, অনিয়মের কারণে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক প্রবাসী দেশে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন।

অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের মাইগ্রেশান প্রোগ্রাম এর তথ্য অনুযায়ী ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ৭ মাসে সৌদি আরব থেকে অবৈধ হয়ে দেশে ফিরছেন প্রায় ২৬ হাজার বাংলাদেশি কর্মী। অন্যদিকে সর্বশেষ ২০২৪ সালেও সৌদি আরব থেকে অবৈধ হয়ে দেশে ফিরছেন ৫০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি।

অভিবাসন বিশ্লেষকরা বলছেন, সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে প্রতিনিয়ত কর্মীরা দেশে ফিরছেন। কেউ ৬ মাস কেউবা যাওয়ার এক থেকে দুই বছরের মধ্যে ফিরে আসছেন। এ বিপুল সংখ্যক কর্মী কেন দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এজেন্সির প্রতারণা কিংবা নিয়োগ কর্তাদের অনিয়ম নিয়ে সরকার কোনো কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

ব্র‍্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের ম্যানেজার আল আমিন নয়ন জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের প্রশাসন কর্মী পাঠানোর সংখ্যা বাড়াতে ও রেমিট্যান্সের পরিমাণ নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও, কর্মীদের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় রাষ্ট্রীয় ভূমিকা দৃশ্যমান নয়। শ্রমিকদের অভিযোগগুলো ভালো করে তদন্ত হচ্ছে না। ফলে ফেরতদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

আরএএস/এমএএইচ/এএসএম

Read Entire Article