দুটি প্যাকেজে ‘সাতক্ষীরা-সখিপুর-কালীগঞ্জ এবং কালীগঞ্জ-শ্যামনগর-ভেটখালী মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ’-এর ক্রয় প্রস্তাব পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের (পুনঃটেন্ডার) উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। পৃথক দুটি প্যাকেজে প্রকল্প দুটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৩১ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৮৬১ টাকা।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এই দুটি প্যাকেজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ করার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ‘সাতক্ষীরা-সখিপুর-কালীগঞ্জ এবং কালীগঞ্জ-শ্যামনগর-ভেটখালী মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ’-প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর-ডব্লিউপি-০৪ এর পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবের পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ’ এর প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পের পূর্তকাজে ক্রয়ের জন্য এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে দুটি দরপত্র জমা পড়ে। তার মধ্যে মাত্র একটি দরপ্রস্তাব রেসপনসিভ বিবেচিত হয়। এক্ষেত্রে দরপত্রটিতে একজন মাত্র দরপত্রদাতা রেসপনসিভ বিবেচিত হওয়ায় কার্যকর প্রতিযোগিতার অভাব পরিলক্ষিত হয়।
আরও পড়ুন
দুর্ভোগে ১৫ লাখ মানুষ: সড়কের বেহাল দশায় পর্যটক হারাচ্ছে সুন্দরবন
https://www.jagonews24.com/country/news/978267
অধিক সংখ্যাক দরদাতার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য টিইসি ও হোপের সুপারিশ বাতিল করে ক্রয় প্রস্তাবটির পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দেয়। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১২১ কোটি ৬৫ লাখ ৬০৯ টাকা। প্রকল্পটি একনেক কর্তৃক ২০২৩ সালের ৯ নভেম্বর তারিখ অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের ১ আগস্ট থেকে ২০২৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সভায় ‘সাতক্ষীরা-সখিপুর-কালীগঞ্জ এবং কালীগঞ্জ-শ্যামনগর-ভেটখালী মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ’-প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর-ডব্লিউপি-০৬ এর পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাব পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
প্রকল্পের পূর্ত কাজে ক্রয়ের জন্য এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে দুটি দরপত্র জমা পড়ে। তার মধ্যে মাত্র একটি দরপ্রস্তাব রেসপনসিভ বিবেচিত হয়। এক্ষেত্রে দরপত্রটিতে একজন মাত্র দরপত্রদাতা রেসপনসিভ বিবেচিত হওয়ায় কার্যকর প্রতিযোগিতার অভাব পরিলক্ষিত হয়। অধিক সংখ্যক দরদাতার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য টিইসি ও হোপের সুপারিশ বাতিল করে ক্রয় প্রস্তাবটির পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১১০ কোটি ৩০ লাখ ৫ হাজার ২৫২ টাকা। প্রকল্পটি একনেক কর্তৃক ২০২৩ সালের ৯ নভেম্বর অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের ১ আগস্ট থেকে ২০২৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।
এমএএস/বিএ/জিকেএস