সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির দীর্ঘ ৫ বছর আগের মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি বাতিল ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের সংগীতা মোড়স্থ পরিবহন কাউন্টারের সামনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরা জেলা বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এ সভার আয়োজন করে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান যুগ্ম-আহ্বায়ক শেখ তারিকুল হাসান। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাস্টার আব্দুল ওয়াহেদ, দেবহাটা উপজেলার বিএনপি আহ্বায়ক শেখ সিরাজুল ইসলাম, সাবেক যুবদল সভাপতি আবুল হাসান হাদী, জেলা কৃষক দলের সাবেক সভাপতি আহসানুল কাদির স্বপন, জেলা যুবদলের সাবেক প্রধান সমন্বয়ক আইনুল ইসলাম নান্টা, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন রাজু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. কামরুজ্জামান ভুট্টো, জেলা ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি শরিফুজ্জামান সজীব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম চন্দনসহ অন্যান্যরা।
প্রধান অতিথি তারিকুল হাসান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের আলোকে একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিগত দিনে রাজপথে থেকে যারা আন্দোলন সংগ্রাম ত্বরান্বিত করেছে, যারা জেল খেটেছে, যারা যুদ্ধ করেছে তাদের মতো যোগ্যদেরকে বিবেচনায় এনে সে সমস্ত পরীক্ষিত সৈনিকদের নিয়ে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির একটি কমিটি উপহার দিন। তিনি এ ব্যাপারে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
তিনি বলেন, যদি যোগ্য লোকদের নিয়ে কমিটি উপহার দেন তাহলে আমরা রাজপথ থেকে আশ্বস্ত করতে চাই আগামী সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা থেকে চারটি আসনই আমরা দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানকে উপহার দেব ইনশাল্লাহ।
জেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক অ্যাড. সৈয়দ ইফতেখার আলীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরে তিনি বলেন, দক্ষিণ বাংলার আন্দোলন সংগ্রাম বন্ধ করার জন্য শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, সাতক্ষীরার উন্নয়নের কারিগর, তালা-কলারোয়ার জননন্দিত নেতা বার বার নির্বাচিত সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিবের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফরমায়েশি রায়ে ৭০ বছরের সাজা দিয়েছিল। আর তার এ সাজা দেওয়ার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল ঢাকা থেকে সাতক্ষীরা কোর্টে আসতেন। আর তার সহযোদ্ধা হিসেবে আজকের জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলী তার সঙ্গে থাকতেন, কীভাবে হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে সাজা নিশ্চিত করা যায়।
আলোচনা সভা শেষে সেখান থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে খুলনা রোড মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।