সাফ চ্যাম্পিয়ন ঋতুপর্ণার বাড়ি নির্মাণে বাধার অভিযোগ

13 hours ago 7
দ্বিতীয়বারে মতো ২০২৪ সালে বাংলাদেশ সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়। সেই টুর্নামেন্টে সেরা খেলোয়াড় পুরস্কার জিতেন ঋতুপর্ণা চাকমা। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক তাকে একটা ঘর নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন। তবে কোনো এক মহল থেকে বাধা আসতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ঋতুপর্ণা। শনিবার (২২ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে ফেসবুকে করা এক পোস্টে এ অভিযোগ করেন তিনি। পোস্টে ঋতুপর্ণা চাকমা লেখেন, নারী সাফ চ্যাম্পিয়নে ২০২২  সালে প্রথমবারের মতো যখন সাফ চ্যাম্পিয়ন হই। তখন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিভাগের পাঁচ সদস্য ছিলাম। আমি আর রুপনা চাকমা রাঙামাটি জেলার আর বাকি তিনজন খাগড়াছড়ি। রাঙামাটি জেলা আমাদের পাঁচজনকে রাজকীয়ভাবে সংবর্ধনা এবং সম্মানিত করেনG সেসময়  স্বয়ং জেলা প্রশাসক আমার নিজ গ্রামের বাড়িতে এসেছেন, আমার ঘরবাড়ি ও যাতায়াতের  অবস্থান দেখে যান। সেবারে  রুপনা চাকমাকে বাড়ি নির্মাণ করে দেন জেলা প্রশাসন। যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সব-ই  বাস্তবায়ন করে দেন। আমাকে যখন জিজ্ঞেস করা হলো আমার কি চাওয়া পাওয়া আছে প্রশাসন থেকে, তখন আমি চেয়েছিলাম আমার এলাকাবাসী সুবিধার্তে যাতায়াতের জন্য রাস্তা, কারণ আমার বাড়ির যাওয়ার রাস্তা নেই। আমি আমার নিজের জন্য কিচ্ছু চাইনি। রাঙামাটি জেলা প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছিলেন রাস্তা সংস্কার করে দিবেন এবং সেই সঙ্গে আমাকে জায়গাসহ বাড়ি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। স্বয়ং আমাকে ডেকে  নিয়ে  ঘাগড়া বাজারে খাস জায়গা  নির্ধারণ করেছেন  এবং  জায়গাটা আমারও পছন্দ  হয়, সবকিছু  ঠিকঠাক হয়। যাইহোক রুপনার সবকিছু  বাস্তবায়ন হয়েছে,  আমার মনেও বিশ্বাস, আশা ছিল প্রশাসনের কাছ থেকে  আমারও সবকিছু বাস্তবায়ন হবে। দুঃখের বিষয় আমার কোনোকিছু বাস্তবায়ন হয়নি। যাইহোক ঔ বিষয় নিয়ে  আমি আর মাথা ঘামাইনি, অনুশোচনাও হয়নি । ২০২২ গেলো সবকিছু ভুলে গেলাম আমি আমার ক্যারিয়ার নিয়ে মনোযোগী হই। ২০২৪ দ্বিতীয়বারে মতো বাংলাদেশ সাফ চ্যাম্পিয়ন  হয়। সেই টুর্নামেন্টে সেরা খেলোয়াড় পুরস্কার জিতেছি। দ্বিতীয়বারের মতো দেশবাসী সবাই মিলে আনন্দ, উল্লাস ভাগাভাগি করে উদযাপন করি। একই ভাবে ২০২২ সালে যেভাবে আমাদের সংবর্ধনা দিয়েছিলেন, ঠিক দ্বিগুণ সেভাবেই আমাদের রাজকীয়ভাবে সংবর্ধনা এবং সম্মানিত প্রদান করেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। এই নতুন বাংলাদেশ, এই নতুন প্রশাসনের কাছ থেকে দৃঢ় বিশ্বাস ছিল বিগত ২০২২ সালে জায়গাসহ বাড়ি করে দেওয়া এবং যাতায়াতের জন্য রাস্তা সংস্কার করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেটা বাস্তবায়ন হবে। দেরিতে হলেও কিছুদিন আগে আমাকে UNO কাজী আতিকুর রহমান স্যার খুশির সংবাদটি জানিয়ে দেন, আমার এলাকার গ্রামবাসীর জন্য রাস্তা নির্মাণ বাবদ রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ থেকে ইতিমধ্যে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। একমাস আগে জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদ সদস্য রাস্তাটি পরিদর্শনও করেছেন। UNO ওনার নিজ উদ্যোগে আমার বাড়িতে সুপেয় পানির জন্য নিজেই গভীর নলকূপ স্থাপন করে দিয়েছেন। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক আমাকে একটা ঘর নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন। প্রশাসন রাস্তা এবং জায়গাসহ বাড়ির করে দেওয়ার অনুমোদন সম্মতি  দিয়েছেন। আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রশাসনকে , খুবই এক্সাইটেড ছিলাম সংবাদটা শুনে। এতোদিন পর প্রশাসন আমাকে বাড়ি করে দেওয়ার সদয় সম্মতি দিয়েছেন, কিন্তু এর মধ্যে আমি শুনতে পাচ্ছি কোনো এক মহল থেকে বাধা আসতে শুরু করেছে। তাহলে কি আমার ঘাগড়ায় কি কোনো ঠাঁই নেই? এখন আমার অনুশোচনা হচ্ছে, ২০১৭ সাল থেকে আমি দেশের জন্য খেলছি দেশের প্রতিনিধিত্ব করতেছি, নিজে জেলার মানুষের কাছে মূল্যায়নটা পাইলাম কই? লিখাই যদি ভুলত্রুটি থাকে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন, ধন্যবাদ।
Read Entire Article