সাবেক এমপি গোলন্দাজ-জিল্লুল হাকিম পরিবারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

3 hours ago 3

কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ব্যাংকে অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল ও রাজবাড়ী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. জিল্লুল হাকিমের পরিবারের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত বছরের অক্টোবর মাসে ফাহমী গোলন্দাজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল তার স্ত্রী শারমিন গোলন্দাজের নামে দুটি মামলা দায়ের করেছে দুদক।

প্রথম মামলায় গোলন্দাজের বিরুদ্ধে ২০ কোটি ১১ লাখ ২০ হাজার ৪৬০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ১৬ টি ব্যাংক হিসাবে ৬০ কোটি ৯৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা ও ১ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৬ মার্কিন ডলারে অস্বাভাবিক লেনদেন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

দ্বিতীয় মামলায় ফাহমী গোলন্দাজ ও তার স্ত্রী শারমিন গোলন্দাজকে আসামি করা হয়েছে।

শারমিন গোলন্দাজের বিরুদ্ধে ১ কোটি ২ লাখ ৯৭ হাজার ৫৭৩ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ টি ব্যাংক হিসাবে ৩ কোটি ১৭ লাখ ৮৯ হাজার টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এদিকে, গত বছরের ২৯ আগস্ট জিল্লুল হাকিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে দুদক। এ সংসদ সদস্য ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিটে জয়ী হন। গত বছরের শুরুতে রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব পান রাজবাড়ীর এ সংসদ সদস্য।

জিল্লুল হাকিম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে দুদক।

প্রথম মামলায় সাবেক রেলমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ২৪ কোটি ২৯ লাখ ৭২ হাজার ৮০৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ১৯ টি ব্যাংক হিসাবে ২৭৮ কোটি ৮১ লাখ ৭ হাজার টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

দ্বিতীয় মামলায় জিল্লুল হাকিমের সঙ্গে আসামি হয়েছেন স্ত্রী সাঈদা হাকিম। সাঈদা হাকিমের বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৭ লাখ ৭২ হাজার ১০৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৬ টি ব্যাংক হিসাবে ২০ কোটি ২৪ লাখ ৩১ হাজার টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

তৃতীয় মামলায় আসামি হয়েছেন জিল্লুল হাকিম ও তার ছেলে আশিক মাহমুদ মিতুল।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, জিল্লুল হাকিমের অবৈধ সম্পদে স্ত্রী ও ছেলে সম্পদশালী হয়েছে। মিতুলের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৬২ লাখ ৩২ হাজার ৬৭১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও একটি ব্যাংক হিসাবে ১৫ কোটি ৫০ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এসএম/এমএএইচ/জেআইএম

Read Entire Article