সাবেক মেয়র তাপসের ২১ ব্যাংক হিসাবে ১০ কোটি টাকা ফ্রিজ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, তার সন্তান শেখ ফজলে নাশওয়ান ও শেখ ফজলে নাওয়ার এবং তার স্বার্থ-সংশ্লিষ্টদের নামে থাকা ২১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব ব্যাংক হিসাবে ১০ কোটি ৩৮ লাখ ৪ হাজার ৭৯৫ টাকা রয়েছে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. সাব্বির ফয়েজের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।  দুদকের পক্ষে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস রহমান তার ব্যাংকের হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।  আবেদনে উল্লেখ করা হয়, শেখ ফজলে নূর তাপসের অর্জিত সব সম্পদের সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা যায়নি। তবে এখন পর্যন্ত তার নিজ, তার সন্তান ও স্বার্থ-সংশ্লিষ্টদের নামে ২১টি ব্যাংক হিসাব পাওয়া গেছে। এসব অস্থাবর সম্পদ যাতে হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করতে না পারে সেইজন্য ২১ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।  এর আগে, গত ৫ জানুয়ারি তাপসের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় বলা হয়, আসামি তাপস ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৭৩ কোটি ১৯ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭ ট

সাবেক মেয়র তাপসের ২১ ব্যাংক হিসাবে ১০ কোটি টাকা ফ্রিজ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, তার সন্তান শেখ ফজলে নাশওয়ান ও শেখ ফজলে নাওয়ার এবং তার স্বার্থ-সংশ্লিষ্টদের নামে থাকা ২১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব ব্যাংক হিসাবে ১০ কোটি ৩৮ লাখ ৪ হাজার ৭৯৫ টাকা রয়েছে।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. সাব্বির ফয়েজের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

দুদকের পক্ষে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস রহমান তার ব্যাংকের হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। 

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, শেখ ফজলে নূর তাপসের অর্জিত সব সম্পদের সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা যায়নি। তবে এখন পর্যন্ত তার নিজ, তার সন্তান ও স্বার্থ-সংশ্লিষ্টদের নামে ২১টি ব্যাংক হিসাব পাওয়া গেছে। এসব অস্থাবর সম্পদ যাতে হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করতে না পারে সেইজন্য ২১ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন। 

এর আগে, গত ৫ জানুয়ারি তাপসের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় বলা হয়, আসামি তাপস ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৭৩ কোটি ১৯ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭ টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করেছেন। এ ছাড়া তিনি নিজ নামে ২৭টি ব্যাংক হিসাবে ২০১৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১৯ আগস্টের  মধ্যে তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৩০৪ কোটি ৩৩ লাখ ৫৮ হাজার ৫২৮ টাকা জমা ও ২৩৪ কোটি ৮২ লাখ ৬৬ হাজার ৭৫০ টাকা উত্তোলন করেন অর্থাৎ তিনি তার ব্যাংক হিসাবে মোট ৫৩৯ কোটি ১৬ লাখ ২৫ হাজার ২৭৮ টাকা লেনদেন এবং ২ লাখ ৬৩ হাজার ৭৩৬ মার্কিন ডলার জমা ও ২ লাখ ৫৩ হাজার ৭৯১ মার্কিন ডলার উত্তোলন করেন অর্থাৎ ৫ কোটি ১৭ লাখ ৫২৭ মার্কিন ডলার অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow