সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়ালের রোপণ করা গাছের নেমপ্লেট খুলে নিলো ইসি

2 months ago 8

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশনের রোপণ করা গাছের নেমপ্লেট খুলে ফেলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন ভবন প্রাঙ্গণে এসব গাছ রোপণ করা হয়।

২০২৪ সালের ১০ জুলাই আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের লেকের পাশে তৎকালীন সিইসিসহ চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব ছয়টি ফলজ গাছ রোপণ করেন।

ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম জানান, সে সময়কার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল রোপণ করেন সফেদা গাছের চারা। নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান রোপণ করেন জলপাই গাছের চারা। এছাড়া নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা জামরুল গাছ, নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর আম গাছ ও নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান রোপণ করেন মিষ্টি জলপাই গাছের চারা। এছাড়া নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিমও রোপণ করেন সফেদা গাছের চারা।

২০১৭ সালে নির্বাচন কমিশন প্রাঙ্গণকে চারটি চত্বরে ভাগ করে বিভিন্ন প্রকার গাছের চারা রোপণের উদ্যোগ নেন সংস্থাটির সাবেক সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। তিনিই প্রথম পুরো প্রাঙ্গণটিকে নানান রকম ফুলগাছে আচ্ছাদিত করেন। তবে সে সময় ফলজ গাছ তেমন রোপণ করা হয়নি বললেই চলে।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সরেজমিনে নির্বাচন ভবনের উত্তর পাশে দেখা যায়, আউয়াল কমিশনের রোপণ করা গাছগুলো থেকে নেমপ্লেট খুলে ফেলা হয়েছে, যা খুঁটিতে ঝুলানো ছিল।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলেন, বিএনপির করা এক মামলার পর কাজী হাবিবুল আউয়াল বর্তমানে গ্রেফতার অবস্থায় রয়েছেন। এরই মধ্যে তিনি আদালতের কাছে নির্বাচনী অনিয়মের স্বীকারোক্তিও দিয়েছেন। এই অবস্থায় নেমপ্লেটগুলো খুলে ফেলা হয়েছে।

২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আউয়াল কমিশনের নেতৃত্বাধীন অনুষ্ঠিত হয়। এক তরফা ওই নির্বাচন ‘ডামি নির্বাচন’ আখ্যা পায়, এতে আওয়ামী লীগের বিপরীতে দলটির প্রার্থীরাই মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। গত ২২ জুন বিএনপি গত যে তিনটি কমিশনের নামে মামলা দেয়, তার মধ্যে আউয়াল কমিশনও রয়েছে। এছাড়া এই কমিশনের অধীনের নির্বাচন তদন্ত করে বাতিলের জন্যও দলটি এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন কমিশনের কাছে আবেদন জানায়।

বিএনপির মামলার পর কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গত ২৫ জুন ঢাকা মেট্রাপলিট্রন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তার মগবাজারের বাসা থেকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি রিমান্ড শেষে কারাগারে রয়েছেন।

এমওএস/কেএসআর/জেআইএম

Read Entire Article