সাভারে বাসা-বাড়ি-কারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করল দুদক
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিমের অভিযানে সাভারের বিভিন্ন এলাকায় বাসাবাড়ি ও শিল্প কারখানাসহ অন্তত ১১০টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
রোববার (১২ জানুয়ারি) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-২ থেকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দুদকের সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগের নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানের সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের সদস্যরা সাভার পৌরসভাসহ সাভারের বিভিন্ন এলাকার কারখানার বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকাগুলোতে কোনো অবৈধ সংযোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখে।
জানা গেছে, অভিযানকালে দুদক টিম সাভারের তিতাস গ্যাস অফিসে গমন করে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র দেখেন এবং সাভারের বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শন করে বিপুল পরিমাণে অবৈধ গ্যাস সংযোগের অস্তিত্ব পান। পরবর্তীতে দুদক টিমের উপস্থিতিতে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ১১০টির অধিক অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে।
এর আগে দুদকের দলটি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশনের ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের আঞ্চলিক বিপণন বিভাগে অভিযান চালায়। এ সময় তারা উপমহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এম মনিরুল ইসলামের কাছে বিগত ছয় মাসে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে তিতাসের অভিযান, ঠিকাদারদের তালিকাসহ বিস্তারিত তথ্যউপাত্ত চায়।
অভিযানের নেতৃত্বদানকারী দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযোগ পেয়েছে, সাভার ও আশুলিয়ায় অনেক অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে। অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারের বিশাল অঙ্কের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে। অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীদের আইনের আওতায় আনতেই মূলত সাভার এলাকায় কর্মরত তিতাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের দুর্নীতিবাজ কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহায়তায় বছরের পর বছর হাজার হাজার কোটি টাকার গ্যাস চুরি হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অথচ গ্যাস সংকটে বাসাবাড়িতে গ্যাস মিলছে না। বিদ্যুৎকেন্দ্রও বন্ধ রাখতে হচ্ছে। সংযোগের অবৈধ ব্যবহারের বিষয়টি একেবারেই ওপেন সিক্রেট।