সারা দেশে ধর্ষণের প্রতিবাদ জবি শিক্ষার্থী ফোরামের

4 hours ago 4

সারা দেশে অব্যাহত ধর্ষণ, নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থী ফোরাম। এ সময় নারী-শিশুসহ সব মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানায় তারা।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ভাস্কর্য চত্বরে এ প্রতিবাদ সমাবেশ করেন তারা।

সমাবেশে বক্তারা সারা দেশে ক্রমাগত ধর্ষণের কথা উল্লেখ করে বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নারীদের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি। এখন সেই নারীদেরই ধর্ষণ করা হচ্ছে। নারীদের ওপর রক্তের ওপর প্রতিষ্ঠিত সরকার এর সুষ্ঠু বিচার করছে না। সরকারের এহেন কাজ হলো জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের সঙ্গে বেইমানি করা। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা যদি সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার না করতে পারে তাহলে অবিলম্বে পদত্যাগ করে নিক।

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শতাব্দীকা উর্মি বলেন, বাংলাদেশে সন্ত্রাসীরা একপ্রকার ফ্রি পাস পেয়ে গেছে। ঘুম থেকে উঠে একের পর এক ধর্ষণ, ছিনতাই, খুনের খবরে আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে তীব্র আতঙ্কে থাকছি। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা রক্তের ওপর যে সরকারকে বসিয়েছি তার এইরকম রাষ্ট্রচালনার বৈশিষ্ট্য হলে বলতে চাই, তিনি অভ্যুত্থানের সঙ্গে প্রতারণা করতে চান। অবিলম্বে জনতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। যদি তা না পারে ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়ে ক্ষমতা ছেড়ে দেন। জনগণের প্রতিনিধি হয়ে জনগণের জীবনকে অনবরত ঝুঁকির মুখে রেখে জনগণের ম্যান্ডেটকে একটা ছেলেখেলা বানাবেন না।

নাট্যকলা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের কিশোয়ার সাম্য বলেন, ইন্টেরিমকে হানিমুন পিরিয়ডে রাখার আর কোনো সুযোগ নেই। যথেষ্ট সময় তারা পেয়েছে। এবার তাদের দায় নেওয়ার পালা। প্রতিটি ধর্ষণের দায় তাদের নিতে হবে। বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। যদি তারা তা না পারে তাহলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পদত্যাগ করুক।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইভান তাহসীব বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে নারীদের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। অথচ এখন আমাদের নারীবান্ধব রাষ্ট্রের দাবি তুলতে হচ্ছে। মানুষের জীবনের নিরাপত্তার দাবি ছিল এই জুলাই আন্দোলনের সবচেয়ে বড় আকাঙ্ক্ষা। এখনো সেই চাওয়া পূর্ণ হয়নি। আমাদের আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি।

Read Entire Article