টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া তার মানে ৫৭ হাজার বর্গমাইল জুড়েই চলছে উচ্ছ্বাস-উল্লসের দিলখোলা এক অন্যরকম অনুভুতির খেলা।
পতিত স্বৈরাচারের রাজনৈতিক বিদ্বেষ আইন-আদালতের চুলচেরা বিশ্লেষণ এবং সঠিক তথ্য-উপাত্তের অভাবে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় সকল আসামি খালাস পাওয়ায় তৈরি হয়েছে এই আনন্দ-উচ্ছ্বাসের ভেলা।
রোববার (১ ডিসেম্বর) হাইকোর্ট ডিভিশনের দুই সদস্যের একটি বেঞ্চ গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানসহ সকল আসামিকে খালাস দেওয়া এবং এটিকে মিথ্যা মামলা হিসেবে রায় ঘোষণা করে।
এরপর একইদিন বিকেল থেকে সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ তাদের হৃদয়ের নেতা তারেক রহমানের মুক্তির এবং একই সঙ্গে দেশে ফেরার পথ সুগম হওয়ার আনন্দে বের করে মিছিল । সেই সঙ্গে ছিল মানুষের মাঝে মিষ্টি বিতরণের ছড়াছড়ি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় খালাস দেওয়ায় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে রোববার (০১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার আগে রাজধানীর নয়াপল্টনে আনন্দ মিছিল বের হয়। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের হাজারও নেতাকর্মী মিছিলে অংশ নেন। নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে নাইট এঙ্গেল মোড় ঘুরে আনন্দ মিছিলটি আবার নয়াপল্টনে এসে শেয হয়। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরফত আলী সপু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন, যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, যুবদলের কামরুজ্জামান জুয়েল, এনামুল হক এনাম, শরিফ উদ্দিন জুয়েল, রবিউল ইসলাম নয়ন, মেহেবুব মাসুম শান্ত, সাজ্জাদুল মিরাজ, সেলিনা সুলতানা নিশিতা, আরিফা সুলতানা রুমা, সঞ্চিতা উর্মি কয়েক হাজার নেতাকর্মী।
এ ছাড়াও বগুড়া, টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম, যশোরসহ দেশের ৬৪টি জেলার বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত হয় আনন্দ মিছিল। এ মিছিল আগামীকাল সোমবারও (০২ ডিসেম্বর) বের করা হবে বলে জানান বিভিন্ন জেলার বিএনপি নেতারা।