বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযানে সাতদিনে ৩৩ জন অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে চলেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায়, গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনস্থ ইউনিট কর্তৃক অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সকল যৌথ অভিযানে চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী, দালাল, চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী, অবৈধ অস্ত্রধারী, মাদক ব্যবসায়ী, চোরাকারবারি, জুয়াড়ি, অবৈধ বালু উত্তোলনকারী এবং মাদকাসক্তসহ মোট ৩৩ জন অপরাধীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাঁচটি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, তিনটি ম্যাগাজিন, ১৪ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, তিনটি ককটেল, একটি সাউন্ড গ্রেনেড ও সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র, মাদকদ্রব্য, ওয়াকিটকি, মোটরসাইকেল, পাসপোর্ট, মোবাইলফোনসহ বিভিন্ন চোরাই মালামাল ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।
তাদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
দেশব্যাপী জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এছাড়াও, শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যেকোন সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে আইএসপিআর।
টিটি/কেএএ/