অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অভিন্ন স্বার্থে আঞ্চলিক সংস্থা সার্ককে কার্যকর করতে সংস্থার সচিবালয়কে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সার্ক একটি বিস্মৃত শব্দ। যাকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারলে এটি পুরো অঞ্চলের মানুষের কল্যাণ বয়ে আনবে।’
সোমবার (০২ ডিসেম্বর) সার্কের মহাসচিব গোলাম সারওয়ার ঢাকার তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে অধ্যাপক ইউনূস এ মন্তব্য করেন।
সেক্রেটারি জেনারেল সারওয়ার সার্কের বড় সমর্থক হওয়ার জন্য অধ্যাপক ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বহুপক্ষীয় সংস্থার পুনরুজ্জীবনের জন্য দক্ষিণ এশিয়ার নেতাদের কাছে তার সাম্প্রতিক আহ্বানে তারা উৎসাহিত হয়েছেন।
তিনি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে কর্ম পর্যায়ে সার্কের চলমান কার্যক্রমের বিষয়ে অবহিত করেন, যার মধ্যে রয়েছে প্রোগ্রামিং কমিটি, আঞ্চলিক কেন্দ্রের গভর্নিং বডি এবং বিশেষায়িত সংস্থা, জলবায়ু পরিবর্তনের ঘটনা, এসডিজি, আঞ্চলিক একীকরণ, শুল্ক সহযোগিতা ইত্যাদি।
তিনি বলেন, উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের অভাবে কার্যকরী উদ্যোগগুলো পর্যাপ্ত শক্তি ও স্পষ্টতা পাচ্ছে না।
অধ্যাপক ইউনূস ও সার্ক মহাসচিব, পররাষ্ট্র সচিব, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অন্যান্য খাতের মন্ত্রীদের বৈঠকের প্রয়োজনীয়তা এবং সংস্থার আরও ভালো কার্যকারিতার জন্য নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন।
মহাসচিব সারওয়ার বলেন, ‘আমাদের অনেক সংস্থার সঙ্গে অংশীদারত্ব রয়েছে। আমরা সেগুলো অন্বেষণ করার চেষ্টা করছি।’
অধ্যাপক ইউনূস মহাসচিব সারওয়ারকে বাংলাদেশ, ভারত ও ভুটানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোতে নেপালের জলবিদ্যুৎ রপ্তানির মতো বহুপক্ষীয় বিষয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
অধ্যাপক ইউনূস জানুয়ারিতে বাংলাদেশে যুব উৎসবে যোগ দিতে সার্কভুক্ত দেশগুলোর তরুণদের আমন্ত্রণও জানান।
তিনি বলেন, ‘এটি ভালো হবে কারণ এটি তরুণদের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। সার্কের পুরো ধারণাটি হলো মানুষকে একত্রিত করা। এটি দ্বার উন্মোচনের একটি উপায় হতে পারে।’
এ বছর সার্ক ঐতিহাসিক ৪০তম সনদ দিবস উদযাপন করছে। সার্ক মহাসচিব সংস্থার চার্টার উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সার্ক প্রক্রিয়ার পুনরুজ্জনে করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে অব্যাহত সহায়তা ও নির্দেশনা কামনা করেন।