সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) কমিশনার আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী বলেছেন, সিলেটে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় সর্বোচ্চ তিনজন যাত্রী বহন করতে পারবে। অটোরিকশার সামনে ও পেছনে গ্রিল লাগানো বাধ্যতামূলক।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরের সভাকক্ষে মহানগর এলাকায় সিএনজিচালিত থ্রি হুইলার যানবাহন এবং প্যাডেল চালিত রিকশা ভাড়া নির্ধারণসংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী বলেন, নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত ও হয়রানিমুক্ত করতে আমরা ভাড়ার তালিকা, নিরাপত্তা গ্রিল ও যাত্রীসংখ্যাসহ যাত্রীদের বিভিন্ন সেবা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি। যাত্রী ও পরিবহন মালিক শ্রমিকের সুবিধা অনুযায়ী মূল্য তালিকা নির্ধারণ করা হবে। এতে চালক ও যাত্রী-উভয়ের স্বার্থই রক্ষা পাবে।
তিনি আরও বলেন, নগরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। নিয়ম অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে এবং চলবে। পাশাপাশি আমরা দ্রুতই নগরে গণপরিবহন চালুর উদ্যোগ নিচ্ছি।
শাবিপ্রবির অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজুর ইসলাম কালবেলাকে বলেন, সিলেটে এমনিতেই সাধারণ পাবলিকের পকেট কেটে টাকা আদায় করে চালকরা। করোনার সময় প্রশাসন এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কিন্তু তা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় যাত্রীদের দ্বিগুণ ভাড়া ব্যয় করতে হয়েছে। এরপর চালক পাঁচজন যাত্রী পরিবহন করলেও যাত্রীদের অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের সিদ্ধান্ত পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের জন্য ভালো কিন্তু যাত্রীদের জন্য হতাশার। প্রশাসনের উচিত এর সঠিক সমাধান বের করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া। সূদুর প্রসারি চিন্তা ও সমস্যার আগাম প্রস্তুতি না থাকায় আমরা বারবার একই সমস্যা পড়ি। তাই প্রশাসনের সঠিক ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামা উচিত।
নগরীর টুকেরবাজারের বাসিন্দা আলমগীর মিয়া বলেন, প্রশাসনের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা খুব কঠিন হবে। মাঝখান দিয়ে যাত্রীদের পকেট কাটা হবে। প্রথম প্রথম তিনজন যাত্রী নিলেও সপ্তাহখানেক পরে দেখা যাবে পাঁচজন যাত্রী নিচ্ছে কিন্তু যাত্রীর কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে।
সুবিদবাজারের বাসিন্দা নেওয়াজ কালবেলাকে বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো এবং দুর্ঘটনা রোধে এটি অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। কিন্তু আগের ভাড়া বলবৎ থাকতে হবে। না হয় যাত্রীর পকেট কাটবে পরিবহন শ্রমিকরা। যেটা করোনাকালে সিলেটবাসী দেখেছে। করোনাকালে সীমিত যাত্রী নিয়ে চলাচলের নিষেধাজ্ঞা তোলার পরও দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করত সিলেটের সিএনজিচালকরা।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম কালবেলাকে বলেন, আমরা দ্রুত মূল্য তালিকা দিয়ে কাজ শুরু করব। নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড ছাড়া কোনো গাড়ি থামতে পারবে না। এ ছাড়া যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং বন্ধের কাজ শুরু করা হবে।

3 hours ago
7









English (US) ·