সিএলপি ইস্যুকারী ১৯ সংস্থার সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

4 hours ago 6

সার্টিফিকেট লাইসেন্স ও পারমিট (সিএলপি) ইস্যুকারী ১৯টি সংস্থার কার্যক্রমের বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি বিষয়ক একটি সমন্বয় সভা (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ১৯টি দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী।

সভায় বক্তারা বলেন, রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো (বিএসডব্লিউ) পদ্ধতি এরই মধ্যে কার্যকর হয়েছে। বিএসডব্লিউ মূলত একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম; এটি ব্যবহার করে একজন আমদানিকারক- রপ্তানিকারক পণ্য খালাসের প্রযোজ্য সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট (সিএলপি) ইস্যুকারী ১৯টি সংস্থার মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিএলপি সংগ্রহ করতে পারবেন।

সভায় জানানো হয়, এনবিআর ঘোষিত ১৯টি সংস্থার মধ্যে ৭টি সংস্থা এরই মধ্যে তাদের অংশের কার্যক্রম পূর্ণ বাস্তবায়ন করেছে এবং ৩১ জানুয়ারির পর বিএসডব্লিউ ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে আর কোনো সিএলপি ইস্যু করবে না। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত এনবিআরের এই কার্যক্রমকে একটি সরকারের অগ্রাধিকার ভিত্তিক হিসেবে বর্ণনা করে নিম্নলিখিত বিষয়সমূহে গুরুত্বারোপ করেন:

১। অনুকূল ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে (সহজভাবে ব্যবসা করা) সরকারের ভেতরে আন্তঃসংস্থা সমন্বয়ের জন্য সরকার কাজ এবং ব্যবসার উন্নত পরিবেশ ও বিনিয়োগ নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো কর্মসূচিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। এই কর্মসূচির সাফল্য বা ব্যর্থতা সরকারের সমগ্র সংস্কার কর্মসূচির ওপর অত্যন্ত ব্যাপক।

সংস্কারকে মূলত বিনিয়োগ, ব্যবসা, অর্থনীতির পরবর্তী ধাপে পৌঁছানোর চাবিকাঠি হিসেবে বিবেচনা করতে চায়। অর্থবহ সংস্কারের পরই আমরা নাগরিক সেবার মানে অর্থবহ পরিবর্তন আশা করা যায়।

ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো প্রকল্পটি প্রায় ৮ বছর আগে হাতে নেওয়া হয়েছিল। এই সময়ে বিশ্ব প্রযুক্তিগতভাবে আমূল বদলে গেছে। কানেক্টিভিটির সংজ্ঞাই একরকম পরিবর্তন হয়ে গেছে। আমাদের দেশে এখনই একটি ন্যাশনাল উইন্ডো সিস্টেম কার্যকর নেই, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং বেশ কিছুটা লজ্জাজনক। বর্তমান বিশ্বে সময় যে সবচেয়ে দামি সম্পদ, এ বিষয়ে আমাদের আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি।

শুধু ডিজিটালাইজেশন নয়, আমাদের একটি ব্যাপকভিত্তিক সাংস্কৃতিক পরিবর্তন প্রয়োজন হবে। যার ৩টি মূল নিয়ামক থাকবে:

প্রথমত, আমাদের সেবা দেওয়ার প্রবণতা সৃষ্টি করতে হবে। নিজেদের শাসক হিসেবে না ভেবে সেবক হিসেবে ভাবতে হবে। দ্বিতীয়ত, সময়ের মূল্যবোধ সৃষ্টি করতে হবে। কাজ শুরু করাটাই যথেষ্ট নয়, কাজের সমাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। তৃতীয়ত, এক ধরনের লজ্জাবোধের জায়গা তৈরি করতে হবে। সেবাপ্রার্থী নাগরিকগণকে সঠিক সময়ে সেবা দিতে না পারার লজ্জাবোধ আমাদের থাকতে হবে।

সংস্কার অর্থ শুধু সরকার পরিবর্তন বা সরকারের কার্যক্রম নয়, সামগ্রিক অর্থে সংস্কার জবাবদিহিতা ও সেবার মানকে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করবে, এই আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

এমইউ/এমএইচআর/জেআইএম

Read Entire Article