২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথমবার টেস্ট সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গেলেও ইতিহাসগড়া ওই সিরিজ শেষ হয় সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে। সিরিজের মাঝপথে ইনজুরিতে পড়ে দল থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন মাশরাফি।
এরপর মোট ৮টি টেস্ট সিরিজে মাত্র একবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। সেটা ২০১৮-২০১৯ মৌসুমে সাকিবের নেতৃত্বে দেশের মাটিতে ২-০ ব্যবধানে।
দেশে ও দেশের বাইরে মিলিয়ে ৬টি সিরিজে হেরেছে বাংলাদেশ। এবারের টেস্ট সিরিজ শেষ হয়েছে ১-১ সমতায়।
ইতিহাস সাক্ষী দিচ্ছে, এ সময়ের মধ্যে টেস্টে বেশির ভাগ হারলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৮টি ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের জেতার পাল্লা অনেক ভারী। কেননা, ৬ বারই জিতেছে বাংলাদেশ।
২০১৮ সালে ২-১ ব্যবধানে ও ২০২২ সালে ৩-০ ব্যবধানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে গিয়ে ক্যারিবীয়দের ধবলধোলাই করার রেকর্ডও আছে টিম বাংলাদেশের।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে এসে আবারও ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে একদিনের সিরিজে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও ওয়েষ্ট ইন্ডিজ। কী হবে এবার?
বাংলাদেশ দল কাগজে কলমে এবার বেশ দুর্বল। দলে সাকিব, মুশফিক আর শান্তর মতো তিনজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার নেই। তাদের বদলে আছেন এক ঝাঁক তরুণ।
তারুণ্যনির্ভর দল নিয়ে কী করবে মিরাজ বাহিনী?
অধিনায়ক মিরাজও মানছেন, সিরিজটা কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে ইতিহাসের কথা ভেবে আশাবাদী মিরাজ।
সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশ ক্যাপ্টেনের কণ্ঠে আশার বানী, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজে এর আগে আমরা যখন সিরিজ খেলতে এসেছি ওডিআই; বেশির ভাগ ম্যাচ জিতেছি, সিরিজগুলো জিতেছি। শেষ যখন ২০২২ সালে এসেছিলাম, তখনও সিরিজ জিতেছি ওডিআই। ১৮ সালে যখন এসেছি, এই মাঠেই শেষ ম্যাচটা খেলেছিলাম। ওই ম্যাচটা জিতেছিলাম প্রায় ৩০০ প্লাস করেছিলাম। আমরা সিরিজ জিতেছিলাম।’
চ্যালেঞ্জের বিষয়ে মিরাজ বলেন, ‘সব মিলিয়ে আমি যেটা অনুভব করি, অবশ্যই আমাদের দলের ভেতর এটা চ্যালেঞ্জিং। কারণ, অনেক খেলোয়াড় নেই, অনেক খেলোয়াড় ইনজুরিতে আছে।’
মিরাজ মনে করছেন, সিনিয়র ও অভিজ্ঞদের অনুপস্থিতি তরুণদের উঠে আসার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।
বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের দলে আরও যারা তরুণ খেলোয়াড় আছে, তাদের জন্য অনেক সুযোগ থাকবে পারফর্ম করার। এখন কিন্তু অনেক প্রতিযোগিতা। যারা এখন ইনজুরিতে আছে বা বাইরে আছে, এই জায়গাগুলোতে ওরা ভালো খেলতে পারলে দিনশেষে আমাদের দলের ও ওদের ক্যারিয়ারের জন্য ভালো হবে।’
এআরবি/এমএইচ/জেআইএম