সিরাজগঞ্জে মাদরাসা সুপারসহ ৪ জনকে সাময়িক বরখাস্ত
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া বিনায়েকপুর দাখিল মাদরাসার সুপার আব্দুস সামাদসহ ৪ শিক্ষক-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ঘুস, দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একই সঙ্গে ওই প্রতিষ্ঠানে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সহকারী শিক্ষক মোমেনা খাতুনের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে ওই মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সোমবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মাদরাসা পরিচালনা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের নানান অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আতাউর রহমানকে আহ্বায়ক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বিশ্বাসকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবে৷ এ প্রতিবেদন পাওয়ার পর অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অপর শিক্ষক-কর্মচারীরা হলেন-মাদরাসা সুপারের নিকট আত্মীয় সহকারী শিক্
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া বিনায়েকপুর দাখিল মাদরাসার সুপার আব্দুস সামাদসহ ৪ শিক্ষক-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ঘুস, দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একই সঙ্গে ওই প্রতিষ্ঠানে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সহকারী শিক্ষক মোমেনা খাতুনের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে ওই মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সোমবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মাদরাসা পরিচালনা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের নানান অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আতাউর রহমানকে আহ্বায়ক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বিশ্বাসকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবে৷ এ প্রতিবেদন পাওয়ার পর অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অপর শিক্ষক-কর্মচারীরা হলেন-মাদরাসা সুপারের নিকট আত্মীয় সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ সালাম, শিহাব ও নৈশপ্রহরী আক্তার হোসেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বিশ্বাস বলেন, মাদরাসার সুপার আব্দুস সামাদ অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে তার স্বজনদের নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসছেন বলে অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি এনটিআরসি থেকে সুপারিশ প্রাপ্ত হন মোমেনা খাতুন। তিনি সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করতে গেলে আব্দুস সামাদ দুই লাখ টাকা ঘুস দাবি করেন। পরবর্তীতে ইউএনও বরাবর অভিযোগ করেন ওই শিক্ষক। এ অভিযোগের বিষয়টি জানার পর সুপার আব্দুস সামাদ নিয়ম বহির্ভূতভাবে তাকে বরখাস্ত করেন। পরে এ ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পায় তারা।
এছাড়া তিনি ২০ নভেম্বর চলমান বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তার কক্ষের আলমারিতে সংরক্ষিত রেখে তালা দিয়ে
মাদরাসা থেকে অন্যত্র চলে যায়। ফলে বার্ষিক পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে ২৪ নভেম্বর সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতিষ্ঠানে গিয়ে রুমের তালা ভেঙে প্রশ্নপত্র বের করে পুনরায় পরীক্ষা নেন।
এম এ মালেক/এনএইচআর/এমএস
What's Your Reaction?