সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ, পাশে ছিল চিরকুট

2 hours ago 2
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ঝুমা রাণী দাস (২৬) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের সালদীঘা গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। যাতে লেখা ছিল ‘প্রিয় স্বামী, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ি নয়। আমি নিজেই দায়ি। আমার স্বামী খুবই ভালো মানুষ। আমি আমার স্বামীকে খুব ভালোবাসি। আমার কলিজার টুকরা রাধিকাকে রেখে গেলাম তোমার কাছে। আমার বিশ্বাস তুমি রাধিকার মা, বাবা দুটোই হতে পারবে। আমার মেয়েটাকে দেখে রেখো।-ইতি ঝুমা।’ ঝুমা রাণী উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের সালদীঘা গ্রামের রূপক চন্দ্র দাসের স্ত্রী। তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তার নাম রাধিকা (৫)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত গৃহবধূ ঝুমা রাণী দাস তার মেয়ে রাধিকা (৫) ও স্বামী রূপক চন্দ্র দাসসহ নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। তার স্বামী রূপক চন্দ্র দাস ফ্রান্স প্রবাসী। তিন মাস পূর্বে ছুটিতে দেশে আসেন। সোমবার সকালে ঝুমার স্বামী, ভাসুর, শাশুড়ি ও মেয়ে আত্নীয়ের বাসায় বেড়াতে যান। অসুস্থ থাকায় ঝুমা রাণী দাস বাড়িতে থেকে যান। বিকেল ৩টার দিকে ঝুমা রাণী দাসের জ্যা তার (ঝুমার) কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে বসতঘরের দরজা ধাক্কা দিয়ে খোলেন। এসময় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ঝুমাকে দেখতে পেয়ে তিনি চিৎকার দেন। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ঝুমার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে বড়লেখা থানার এএসআই দেবল চন্দ্র সরকার ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন। বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমান কালবেলাকে বলেন, মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল মৌলভীবাজারে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
Read Entire Article