সিলেটে ডিসির অপসারণসহ ৫ দাবিতে ট্রাক শ্রমিকদের কর্মবিরতি

2 months ago 6

সিলেটের জেলা প্রশাসকের অপসারণ ও সব পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়াসহ ৫ দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করছেন ট্রাক শ্রমিকরা।

শনিবার (৫ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে এ কর্মবিরতি চলছে। এতে সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের ও আন্তঃজেলা সড়কে ট্রাক, লরি ও কাভার্ড ভ্যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।

এর আগে শুক্রবারের মধ্যে সিলেটের সব পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া এবং জেলা প্রশাসকের অপসারণসহ ৫ দফা দাবি আদায়ে আল্টিমেটাম দেয় শ্রমিকরা। পাথর ও পরিবহন ব্যবসায়ীদের যৌথ প্ল্যাটফর্ম ‘সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’র এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। দাবি পূরণ না হওয়ায় শনিবার থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন ট্রাক, লরি ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিকরা।

কর্মবিরতি শুরুর পর সকাল থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সিলেট নগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শ্রমিকরা। এতে পণ্য পরিবহনে অনেকটা অচলবস্থা তৈরি হয়েছে।

সিলেট জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. দিলু মিয়া বলেন, সিলেটের পাথর কোয়ারির সঙ্গে হাজার হাজার শ্রমিকের জীবন জড়িত। কোয়ারি বন্ধ থাকায় মানুষ অসহায় হয়ে পড়ছে। এই অবস্থায় সব কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে পাথর সংশ্লিষ্টরা একমত পোষণ করেছেন। এরই প্রেক্ষিতে কর্মবিরতি চলছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি আদায় না হলে পরবর্তীতে সর্বাত্মক ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হবে।

সিলেটের জেলা প্রশাসকের অপসারণ দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিলেটের মানুষের সেবা করার দায়িত্ব জেলা প্রশাসকের। কিন্তু সিলেট বিদ্বেষী আচরণ করায় আমার তারও অপসারণ দাবি করেছি। আমাদের ৫ দফা দাবি আদায় না হলে আমরা মাঠ ছাড়বো না।

এর আগে গত ২ জুলাই (বুধবার) নগরীর কোর্ট পয়েন্টে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ৫ দফা দাবি তোলা হয়। ৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, সব পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া, স্টোন ক্রাশার মেশিন ধ্বংস অভিযান বন্ধ, পাথরবাহী ট্রাক জব্দ না করা, চালকদের হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধ, বিআরটিএ কার্যালয়ে শ্রমিকদের প্রতি হয়রানিমূলক আচরণ বন্ধ করা ও সিলেটের জেলা প্রশাসকের অপসারণ। সেসময় আন্দোলনকারীরা সরকারকে ৪ জুলাইয়ের মধ্যে দাবি মানার আল্টিমেটাম দিয়েছিল। তা না হলে শনিবার (৫ জুলাই) থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়।

আহমেদ জামিল/এমএন/এএসএম

Read Entire Article