সিলেটের গোলাপগঞ্জে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এ পর্যন্ত পাঁচজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। রোববার (৪ আগস্ট) রাত ৯টা পর্যন্ত পাঁচজনের নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র।
নিহতরা হলেন উপজেলার ধারাবাহর গ্রামের মকবুল আলীর ছেলে ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ঠিকাদার (খাবার সরবরাহকারী) তাজ উদ্দিন (৪৩) ও শিলঘাটের বাসিন্দা সানি আহমদ (১৮), দত্তরাইল গ্রামের মিনহাজ আহমদ (২৬), ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের নিশ্চিন্ত গ্রামের নাজমুল ইসলাম (২২) ও গৌছ উদ্দিন (২৯)।
রাতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, মিনহাজ ও গৌছ উদ্দিন নামের দুজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কেউ মারা যাননি। তবে গোলাপগঞ্জের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন।
নিহতদের স্বজনরা জানান, মিনহাজ গোলাপগঞ্জ পৌর শহরের সানরাইজ সেন্টারের পাশে একটি রেস্তোরাঁয় খেয়ে বের হওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন। তিনি ওই এলাকার মোটর ওয়ার্কশপের ব্যবসায়ী ছিলেন। নিহত নাজমুল ঢাকা দক্ষিণ বাজারে একটি জুতার দোকানের ব্যবসায়ী ছিলেন।
নাজমুল ইসলামের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন। তিনি দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ বাজারে পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে বিক্ষোভকারী ছাত্র-জনতার সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন।
এর আগে দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ বাজারে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও বিজিবির সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান সানি আহমদ (১৮) ও তাজ উদ্দিন (৪০)। তাদের নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুদর্শন সেন।
আহমেদ জামিল/এসআর