সিলেটের জেলা প্রশাসক সারোয়ারকে শোকজ

2 hours ago 3

সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলমকে শোকজ করেছেন আদালত। আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে লিখিত জবাব দেওয়ার নির্দেশও দেন আদালত।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে সিলেট জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার আলম কালবেলাকে বলেন, শোকজ করার বিষয়ে শুনেছি। তবে অফিশিয়ালি এখনো কোনো আদেশ কপি পাইনি।  

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে  সিলেটের সিনিয়র সহকারী জজ (সদর) আদালত এ শোকজ জারি করেন। 

আদালত সূত্রে জানা যায়, দি সিলেট খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের (এসকেআইএসসি) দুই শিক্ষক ও ভাইস প্রিন্সিপালকে বহিষ্কারকে কেন্দ্র করে করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এ শোকজ পাঠানো হয়েছে।

এর আগে, সিলেটে নিজের নিয়োগকর্তা হয়ে বরখাস্ত হলেন ২ শিক্ষক। এ ঘটনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অন্য শিক্ষকরা। গত বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক সারোয়ার আলম স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাদের বহিষ্কার করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়, সিলেট খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক আবেদা হক ও মো. রোকন উদ্দিন প্রতিষ্ঠানের যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোনো ধরনের নিয়োগপত্র বা পদোন্নতি ব্যতীত স্বপ্রণোদিতভাবে জোরপূর্বক এ প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রিন্সিপাল ইনচার্জ (নারী)-এর দায়িত্ব গ্রহণ করে বিদ্যালয়ে কর্মরত অন্য শিক্ষকদের ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে তাকে অভিনন্দন জানাতে বাধ্য করেছেন।

এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ওয়েবসাইটে পদবি হালনাগাদকরণসহ বহুল প্রচারের জন্য সিলেটের স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রেস রিলিজ প্রচার করেছেন যা খাজাঞ্চিবাড়ী ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সার্ভিস রুলস এবং রেগুলেশনের সম্পূর্ণ পরিপন্থি।

আরও বলেন : ঋণের দায়ে আত্মহত্যা, আবার সেই ঋণেই চল্লিশা

তার এমন কার্যকলাপ বিদ্যালয়ের সামগ্রিক কর্মপরিবেশের জন্য হানিকর ও ছাত্রছাত্রীদের সামনে আইনের প্রতি অমান্যতার নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সিলেটের সার্ভিস রুলস এবং রেগুলেশনের বিধি লঙ্ঘন করায় মো. রোকন উদ্দিন ও আবেদা হককে সিলেট খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হল। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে তারা সিলেটের প্রথম ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল দি সিলেট খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রিন্সিপাল হিসেবে ১ জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে স্কুলের ২ শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপালের দায়িত্বে নেন নিজ উদ্যোগে।

Read Entire Article