সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে স্থানীয় কৃষকদের ফসল নষ্টের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর নামক স্থানে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠকে দুঃখ প্রকাশ করে বিএসএফ।
জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (১৯ বিজিবি) ও কমান্ড্যান্ট, ১৭০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের মধ্যে এই পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে রোববার (২ নভেম্বর) জকিগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী রসুলপুর নামক স্থানে বিএসএফ সদস্যরা অবৈধভাবে সীমান্ত পিলার ১৩৪৫ হতে আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সুরমা নদী পার হয়ে অনুপ্রবেশ করে। এসময় তারা স্থানীয় ফসলের বেড়া ও ফসল বিনষ্ট করে। বিজিবির বিয়াবাইল বিওপির টহল দল দ্রুততার সাথে ঘটনাস্থলে পৌঁছে। কিন্তু তার আগেই স্থানীয় জনগণের বাধার মুখে বিএসএফ সদস্যরা পিছু সরে ভারতের অভ্যন্তরে চলে যায়।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে ঢুকে ফসলের ক্ষতি বিএসএফের, ধাওয়া দিলেন কৃষকরা
এ ঘটনার পর পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে আহ্বান করে বিজিবি। এরই প্রেক্ষিতে সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিজিবি জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (১৯ বিজিবি) ও ১৭০ বিএসএফের কমান্ড্যান্টের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে বিজিবি অধিনায়ক বিএসএফ টহল দলের কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানান। প্রত্যুত্তরে বিএসএফ কমান্ড্যান্ট বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ ও কৃষকের ফসল নষ্ট করার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে ক্ষতিপূরণের বিষয় জানানো হবে বলে জানান। ভবিষ্যতে অবৈধভাবে প্রবেশের বিষয়ে বিএসএফ সদস্যদের নির্দেশনা প্রদান করা হবে এবং বিএসএফ টহল দলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান।
জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. জুবায়ের আনোয়ার জানান, পতাকা বৈঠকে বিএসএফ কর্মকর্তাদের কাছে সীমান্তের ম্যাপসহ বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়। তাতে অনুপ্রবেশের বিষয়টি স্পষ্টভাবে উঠে আসে। বিএসএফ প্রতিনিধিদল তাদের টহল দলের এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে।
আহমেদ জামিল/এমএন/জিকেএস

                        6 hours ago
                        5
                    








                        English (US)  ·