সুন্দর আচরণের প্রতিদান জান্নাত

রাসুল (সা.) বলেছেন, যে পছন্দ করে তাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হোক এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হোক, তার মৃত্যু যেন এমন অবস্থায় হয় যে, সে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান রাখে এবং অন্যের সাথে এমন ব্যবহার করে, যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে। (সহিহ মুসলিম: ১৮৪৪) এই হাদিস থেকে যে শিক্ষাগুলো আমরা পাই: ১. এই হাদিসে রাসুল (সা.) মানুষের সাথে উত্তম আচরণের একটি চমৎকার মূলনীতি আমাদের শিখিয়েছেন। সেটা হলো, মানুষের সাথে এমন আচরণ করুন যে আচরণ আপনি মানুষের কাছে আশা পারেন। কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করার আগে নিজেকে তার জায়গায় দাঁড় করান এবং চিন্তা করুন একই ব্যবহার আপনি পেলে আপনার কেমন লাগতো। রাসুলের (সা.) এই একটি নির্দেশনা অনুসরণ করলেই আমাদের আচরণ সর্বোত্তম ও আদর্শ হয়ে উঠতে পারে। ২. মুমিনের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হলো আল্লাহর শাস্তি থেকে মুক্তি ও জান্নাত লাভ। এই লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টায় নিরত থাকা মুমিনের কর্তব্য। এ হাদিসে নবিজি (সা.) জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাত লাভের উপায় মাত্র দুটি পয়েন্টে সীমাবদ্ধ করেছেন। এক. আল্লাহ ও পরকালের ওপর ইমান আনা এবং সে অনুযায়ী তার ইবাদত করা অর্থৎ বিশ্বজগতের স্রষ্টা ও ইলাহ

সুন্দর আচরণের প্রতিদান জান্নাত

রাসুল (সা.) বলেছেন, যে পছন্দ করে তাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হোক এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হোক, তার মৃত্যু যেন এমন অবস্থায় হয় যে, সে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান রাখে এবং অন্যের সাথে এমন ব্যবহার করে, যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে। (সহিহ মুসলিম: ১৮৪৪)

এই হাদিস থেকে যে শিক্ষাগুলো আমরা পাই:

১. এই হাদিসে রাসুল (সা.) মানুষের সাথে উত্তম আচরণের একটি চমৎকার মূলনীতি আমাদের শিখিয়েছেন। সেটা হলো, মানুষের সাথে এমন আচরণ করুন যে আচরণ আপনি মানুষের কাছে আশা পারেন। কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করার আগে নিজেকে তার জায়গায় দাঁড় করান এবং চিন্তা করুন একই ব্যবহার আপনি পেলে আপনার কেমন লাগতো। রাসুলের (সা.) এই একটি নির্দেশনা অনুসরণ করলেই আমাদের আচরণ সর্বোত্তম ও আদর্শ হয়ে উঠতে পারে।

২. মুমিনের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হলো আল্লাহর শাস্তি থেকে মুক্তি ও জান্নাত লাভ। এই লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টায় নিরত থাকা মুমিনের কর্তব্য। এ হাদিসে নবিজি (সা.) জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাত লাভের উপায় মাত্র দুটি পয়েন্টে সীমাবদ্ধ করেছেন। এক. আল্লাহ ও পরকালের ওপর ইমান আনা এবং সে অনুযায়ী তার ইবাদত করা অর্থৎ বিশ্বজগতের স্রষ্টা ও ইলাহ আল্লাহর হক আদায় করা। দুই. আল্লাহর সৃষ্টির হক আদায় করা। মানুষ বা আল্লাহর যে কোনো সৃষ্টির সাথে আচরণের ক্ষেত্রে ইহসান করা অর্থাৎ অন্যের সাথে সে আচরণই করা যে আচরণ মানুষ নিজের জন্য চায়।

৩. জান্নাতে প্রবেশ করার একটি উপায় হলো মানুষের সাথে উত্তম আচরণ করা, ভালোবাসা ও সৌহার্দপূর্ণ ব্যবহার করা। আল্লাহর ইবাদতের পাশাপাশি মুসলমান ভাই, যে কোনো মানুষ এবং আল্লাহর যে কোনো সৃষ্টির সাথে উত্তম আচরণ করা আমাদের কর্তব্য। আরেকটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, রহমকারীদের ওপর ওপর রহমানও রহম করেন। তোমরা পৃথিবীবাসীদের প্রতি রহম কলে আকাশবাসী তোমাদের উপর রহম করবেন। (তিরমিজি: ১৯২৪)

ওএফএফ

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow