‘সুবিধাবাদীদের’ নিয়ে দোয়া, ডিসির ওপর বৈষম্যবিরোধী নেতার ক্ষোভ

2 months ago 5

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের বাদ দিয়ে সুবিধাবাদীদের নিয়ে দোয়া মাহফিল করার অভিযোগে প্রতিবাদ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন নেতা।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) খুলনার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিলে এ ঘটনা ঘটে।

ক্ষোভ প্রকাশ করা যুবকের নাম সাকিব রেজা। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা মহানগর শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক।

দোয়া মাহফিলে উপস্থিত হয়ে খুলনা জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের উদ্দেশে সাকিব রেজা বলেন, ‌‘আমরা আন্দোলনে আহত হয়েছি। এখনো গায়ে গুলির দাগ রয়েছে। অনেকে এখনো চিকিৎসাধীন। আন্দোলনের স্টেকহোল্ডার কি এই দুই তিনজন ছিল? আপনি কাদের নিয়ে দোয়া মাহফিল করছেন? চোর-বাটপার নিয়ে দোয়া মাহফিল করছেন। যাদের নিয়ে বসে আছেন, তাদেরকে আমরা আহতরা ঠিকভাবে চিনিই না। আন্দোলনের মধ্যে সমন্বয়কদের বলেছেন?’

দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) খুলনা মহানগরের সংগঠক আহমেদ হামিম রাহাত। তিনি বলেন, ‘দোয়া মাহফিলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। দোয়া মাহফিল চলাকালে হঠাৎ একটা ছেলে এসে চিল্লাপাল্লা করে। পরে তাকে উপস্থিতিরা সরিয়ে নেয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘জেলা প্রশাসন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলনের খুলনা নগরের আহবায়ক এবং যুগ্ম আহবায়কসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা নগর শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক সাকিব রেজা জাগো নিউজকে বলেন, ‘আন্দোলনে যাদের ভূমিকা নেই, তাদের নিয়ে জেলা প্রশাসক দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছেন। রূপ বদলানো সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে দোয়া মাহফিল করেছেন। আমি শুধু তারই প্রতিবাদ করেছি।’

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা মহানগর শাখার সদস্য সচিব জহুরুল তানভীর বলেন, ‘আমি দোয়া মাহফিলে ছিলাম না। ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টা খুব পরিষ্কার যে, খুলনা জেলা প্রশাসক ও সুবিধাবাদী একটি মহল যোগসাজশে অনেক কিছুই করছেন। তা সবাই জানতে শুরু করেছেন।’

ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা জেলা শাখার আহ্বায়ক তাসনিম আহমেদ। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা তার সাধুবাদ জানাই। কিন্তু এই দোয়া মাহফিলে প্রকৃত জুলাইযোদ্ধারা কোথায়? আহতরা কোথায়? ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা কোথায়? যাদের নিয়ে দোয়া মাহফিল করা হয়েছে, তারা একারাই কি খুলনাকে স্বৈরাচার মুক্ত করেছে?

জানতে চাইলে খুলনা জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, দোয়া মাহফিল চলাকালে একজন হঠাৎ এসে চোর-বাটপারদের নিয়ে দোয়া মাহফিল করছেন বলে মন্তব্য করেন। আমরা একটু থমকে যাই। পরবর্তী সময়ে স্বাভাবিকভাবে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি দাবি করেন, আয়োজিত দোয়া মাহফিলে সব স্টেকহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন। আহতদের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

আরিফুর রহমান/এসআর/এমএস

Read Entire Article