সুযোগ এসেছে ৫৪ বছর পর হাতে হাত ধরার : ধর্ম উপদেষ্টা

ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালেদ হোসাইন বলেছেন, একটা সুযোগ এসেছে ৫৪ বছর পরে হাতে হাত ধরার। সুযোগ বারবার আসে না, ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এই দেশে আমরা যদি খোলাফায়ে রাশেদিনের আদলে একটা আদর্শিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই তাহলে একে অপরের হাত ধরতে হবে। একের সঙ্গে একের টান থাকতে হবে। টান যদি শেষ হয়ে যায় সেই দিন আমাদের পতন ঘটবে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) চরমোনাইর ঐতিহাসিক অগ্রহায়ণের মাহফিলের দ্বিতীয় দিন অনুষ্ঠিত উলামা-মাশায়েখ ও দ্বীনদার বুদ্ধিজীবী সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের আলেম-ওলামাবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, সব জায়গায় যদি দিনদার পরহেজগার মানুষ যদি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত না হয় তবে বারবার আমরা ভুল করবো, বারবার আমাদের জন্য দুর্যোগ নেমে আসবে। অতএব স্বপ্ন মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। নির্বাচন প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমদিকে নির্বাচন হবে। এটা আমাদের শর্ট টার্ম প্রজেক্ট। এ দেশের মানুষ চেষ্টা করবে সুষ্ঠু, অব

সুযোগ এসেছে ৫৪ বছর পর হাতে হাত ধরার : ধর্ম উপদেষ্টা

ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালেদ হোসাইন বলেছেন, একটা সুযোগ এসেছে ৫৪ বছর পরে হাতে হাত ধরার। সুযোগ বারবার আসে না, ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এই দেশে আমরা যদি খোলাফায়ে রাশেদিনের আদলে একটা আদর্শিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই তাহলে একে অপরের হাত ধরতে হবে। একের সঙ্গে একের টান থাকতে হবে। টান যদি শেষ হয়ে যায় সেই দিন আমাদের পতন ঘটবে।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) চরমোনাইর ঐতিহাসিক অগ্রহায়ণের মাহফিলের দ্বিতীয় দিন অনুষ্ঠিত উলামা-মাশায়েখ ও দ্বীনদার বুদ্ধিজীবী সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের আলেম-ওলামাবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, সব জায়গায় যদি দিনদার পরহেজগার মানুষ যদি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত না হয় তবে বারবার আমরা ভুল করবো, বারবার আমাদের জন্য দুর্যোগ নেমে আসবে। অতএব স্বপ্ন মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে।

নির্বাচন প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমদিকে নির্বাচন হবে। এটা আমাদের শর্ট টার্ম প্রজেক্ট। এ দেশের মানুষ চেষ্টা করবে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ইনক্লুসিভ একটা নির্বাচন দেওয়ার জন্য। কেন্দ্র পাহারা দেওয়া ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়ার দায়িত্ব আপনাদের। সরকার আপনাদের পাশে আছে। সবাই কেন্দ্রে থাকবেন, যার ভোট নিজের ইচ্ছায় তাকে দিবেন। কেউ যেন ব্যালট বাক্স ছিনতাই করতে না পারে, একজনের প্রাপ্ত ভোট আরেকজনে নিয়ে পালিয়ে যেতে না পারে। সরকার শতভাগ প্রস্তুত থাকবে তার ‘ল’ এবং এজেন্সি নিয়ে। কিন্তু আপনাদেরও পাশে থাকতে হবে।

খালেদ হোসাইন বলেন, আমরা অপেক্ষা করছি আগামী দিন একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। নির্বাচনের পরে আমরা আমাদের পুরানো ঠিকানায় ফিরে যাবো। যারা আগামীর সরকার গঠন করবেন সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে যারা আসবেন তারা আমাদের অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করবেন বলে আমরা আশা করবো। পাশাপাশি জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা তারা পূরণ করবেন। পার্লামেন্টে আপনি যদি আলেম পাঠাতে পারেন, মন্ত্রী বানাতে পারেন, সচিব বানাতে পারেন দেশের চেহারা পাল্টে যাবে। ঐদিনের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। এটা হতে পারে ফেব্রুয়ারিতে, হতে পারে আরও পরে। তবে সাহস হারালে চলবে না। সাহসের ওপর ভর দিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আলেমদের মেহনত ব্যর্থ হয়নি, আগামীতেও ব্যর্থ হবে না।

তিনি আরও বলেন, ধর্মকে ব্যঙ্গ করে, ধর্মকে কটূক্তি করে, ধর্মের অপব্যাখ্যা করে জনগণের সেন্টিমেন্টকে উস্কে দেওয়ার ক্ষমতা কারো নাই। ইসলাম সম্পর্কে যদি কেউ কথা বলতে চায় সেটা আলেম ওলামাদের ঐক্যমতে হতে হবে। না হলে সংঘাত অনিবার্য হয়ে পড়ে।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, একজন মন্ত্রী বা উপদেষ্টা দিয়ে আমাদের কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জিত হবে না। পার্লামেন্টে ২০০ আসন যদি আদর্শিক রাষ্ট্র ধারা চান তাহলে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিবর্তন হবে। বিধির যদি পরিবর্তন করতে চান, তাহলে পার্লামেন্টের অধিকাংশ আসনে যাদের অন্তরের ভেতরে তাকওয়া আছে, সততা আছে তাদের পার্লামেন্টে পাঠাতে হবে। আমরা আর অন্ধকার যুগে ফিরে যাবো না। আমরা যখন দায়িত্ব নিয়েছিলাম তখন আমাদের বৈদেশিক ডলার রিজার্ভ ছিল ২০ মিলিয়ন ডলার। আমরা এখন ৩২-এর ওপর নিয়ে গেছি। ১৫-১৬ মাসে ১৬ বছরের জঞ্জাল পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। আগে থেকে একটা কাঠামো তৈরি হয়ে আছে। এই কাঠামোর ভেতরে আমাদের চলতে হয়। আমরা অনেক কিছু পেরেছি। অনেকটা আবার পারিনি। যেটা পারিনি সেটা আগামী দিনের সরকার করবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা আইন হাতে তুলে নিবো না। আগামী দিনে যদি অন্য কোনো সরকার ক্ষমতায় আসে সেই সময় যদি আইন হাতে তুলে নেন তাহলে সহিংসতা বেড়ে যাবে। ‘ল’ থাকবে না। ধর্মের নামে কেউ অপব্যাখ্যা করলে বা বিশৃঙ্খলা করলে তাদের কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। যারা এগুলো করছে তাদের ধরে আমরা আইনের আওতায় আনছি।
 

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow