সুস্থ থাকা আসলে খুব কঠিন কিছু নয়। দামি ওষুধ বা জটিল ডায়েটের দরকার পড়ে না— বরং কয়েকটি ছোট ছোট অভ্যাস নিয়মিত মেনে চললেই শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকে।
ব্যস্ত জীবনের মাঝেও এই সহজ কাজগুলো করলে আপনি অনেক রোগ থেকে দূরে থাকতে পারবেন। চলুন জেনে নিই সেই ৫টি অভ্যাস—
খাওয়ার পর অন্তত ১০ মিনিট হাঁটুন : খাওয়া শেষ করে সঙ্গে সঙ্গে বসে পড়া বা শুয়ে পড়া শরীরের জন্য ভালো নয়। বরং খাবারের পর অন্তত ১০ মিনিট হাঁটলে হজমে সহায়তা করে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং শরীরের শক্তি খরচ বাড়ে। এটি সহজ কিন্তু কার্যকর একটি অভ্যাস, যা প্রতিদিনের জীবনে ফিট থাকতে সাহায্য করবে।
ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার খান : ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদয় ও মস্তিষ্কের জন্য খুব উপকারী। এটি প্রদাহ কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। তেলযুক্ত মাছ (যেমন স্যামন, সার্ডিন), তিসি বীজ, চিয়া বীজ ও আখরোট খেলে প্রাকৃতিকভাবেই ওমেগা-৩ পাওয়া যায়।
ভালো ঘুমকে অগ্রাধিকার দিন : ভালো ঘুম কোনো বিলাসিতা নয়, এটি সুস্বাস্থ্যের ভিত্তি। প্রতিদিন ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা শান্ত ও নিরবচ্ছিন্ন ঘুম শরীর ও মন দুটোই রিচার্জ করে। পর্যাপ্ত ঘুম না পেলে ওজন বেড়ে যাওয়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, এমনকি মানসিক চাপ বাড়ার ঝুঁকিও থাকে। তাই ঘুমকে প্রতিদিনের রুটিনে গুরুত্ব দিন।
প্লাস্টিকের ব্যবহার কমান : খাবার বা পানীয় প্লাস্টিকের বোতল বা পাত্রে রাখার অভ্যাস বাদ দিন। প্লাস্টিক থেকে BPA ও phthalates নামের ক্ষতিকর রাসায়নিক বের হয়, যা শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে এবং দীর্ঘমেয়াদে নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এর পরিবর্তে কাচ বা স্টেইনলেস স্টিলের পাত্র ব্যবহার করা নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত।
শরীরের অবস্থা নিয়মিত পরীক্ষা করুন : শুধু ওজন মাপলেই স্বাস্থ্যের পূর্ণ চিত্র পাওয়া যায় না। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করলে শরীরের ভেতরের আসল অবস্থা জানা যায়— যেমন কোলেস্টেরল, ইনসুলিন এবং প্রদাহের মাত্রা। এসব পরীক্ষার মাধ্যমে রোগের প্রাথমিক লক্ষণ আগেই ধরা সম্ভব, যা ভবিষ্যতে বড় সমস্যা এড়াতে সাহায্য করে।
সূত্র : মেয়ো ক্লিনিক

 7 hours ago
                        8
                        7 hours ago
                        8
                    








 English (US)  ·
                        English (US)  ·