সেই আব্দুল হাই কানুকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ

2 weeks ago 17

মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পুঁজি করে বাংলাদেশকে বহির্বিশ্বে হেয়প্রতিপন্ন করার অভিযোগে কৃষক লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রসমাজ’।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে হায়দার শপিং কমপ্লেক্সর সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে নেতৃত্ব দেন ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র সমাজের কুমিল্লা জেলা যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. মামুন মজুমদার, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাহিদুল ইসলাম, নাছিম মিয়াজী ও আবুল হাসনাত সিয়াম প্রমুখ। 

এ সময় বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ একবার রিকশা লীগ একবার আনসার লীগ হয়ে আসে। এবার তারা এসেছে কানু লীগ হয়ে। বর্তমান সরকার শপথ গ্রহণের পরে ঘোষণা দিয়েছিল জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতা হত্যার দায়ে জড়িত ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের বিচার করবে। অনেক বেলা হয়ে গেছে কার্যত কোনো বিচার আমরা দেখছি না। আমরা আশা করি সরকার দ্রুত বিচার কার্যক্রম শেষ করবে। 

তারা আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু স্বাধীনতার মহান যুদ্ধকে ধারণ করে দেশে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে তিনি দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। অথচ তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ ৯টি মামলা রয়েছে। আমরা প্রশাসনকে আহ্বান জানিয়ে বলি, দ্রুত যেন আব্দুল হাই কানুকে গ্রেপ্তার করা হয়। আব্দুল হাই কানুর জুতার মালার ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি মহল আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। ছাত্রজনতা এ আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন যেকোনো মূল্যে রুখে দেবে।

প্রসঙ্গত, রোববার (২২ ডিসেম্বর) কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুর গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করে একদল দুর্বৃত্ত। রাতে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা গেছে, দুই ব্যক্তি জুতার মালা পরা অবস্থায় ওই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের টানাহেঁচড়া করছেন। এ সময় ওই বীর মুক্তিযোদ্ধা বারবার তাকে ছেড়ে দেওয়ার আকুতি জানান। লাঞ্ছিতকারীরা বারবার ওই মুক্তিযোদ্ধাকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হুমকি দিতে থাকেন।

কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কৃষক লীগের সাবেক সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানু। তিনি চৌদ্দগ্রাম লুদিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা।

মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই সমর্থককে বহিষ্কার করেছে জামায়াত। ঘটনার পরদিন বিবৃতি দিয়ে তাদের বহিষ্কার করা হয়।

Read Entire Article