সেই ট্রাইব্যুনালেই শেখ হাসিনার মামলার রায় আজ

২০১০ সালের ২৫ মার্চ গঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এই ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়কার সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময় ফাঁসিও হয় ৬ জনের। সেই ট্রাইব্যুনালেই আজ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় হতে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এটি ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সরকারের বড় সাফল্য বলে দাবি করা হয়। সেই ট্রাইব্যুনালে আজ গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনা অভিযুক্ত। আরও পড়ুন:মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেখ হাসিনার মামলার রায় আজআসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত চায় রাষ্ট্রপক্ষ‘পলাতকরা আপিল করতে পারবেন না’ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর করে

সেই ট্রাইব্যুনালেই শেখ হাসিনার মামলার রায় আজ

২০১০ সালের ২৫ মার্চ গঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এই ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়কার সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময় ফাঁসিও হয় ৬ জনের। সেই ট্রাইব্যুনালেই আজ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় হতে যাচ্ছে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এটি ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সরকারের বড় সাফল্য বলে দাবি করা হয়। সেই ট্রাইব্যুনালে আজ গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনা অভিযুক্ত।

আরও পড়ুন:
মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেখ হাসিনার মামলার রায় আজ
আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত চায় রাষ্ট্রপক্ষ
‘পলাতকরা আপিল করতে পারবেন না’

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। এ ছাড়া জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছিল, পরে আপিল বিভাগে দণ্ড কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়। জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমকে এই ট্রাইব্যুনাল ৯০ বছরের সাজা দেওয়া হয়। সাজা নিয়ে মারা যান গোলাম আযম।

আরও পড়ুন:
৬ যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি কার্যকর
ঐক্যের গণজাগরণ মঞ্চে বিভাজনের দেয়াল

বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে এই ট্রাইব্যুনাল ফাঁসির আদেশ দেন। আপিল বিভাগ পেরিয়ে সেই দণ্ড কার্যকর করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সরকারের মন্ত্রী আবদুল আলীমও এই ট্রাইব্যুনালের সাজা ভোগরত অবস্থায় মারা যান।

আবদুল কাদের মোল্লাকে এই ট্রাইব্যুনাল যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছিলেন। পরে প্রসিকিউশন আপিল করে, কাদের মোল্লার সাজা বেড়ে মৃত্যুদণ্ড হয়। আওয়ামী লীগ সরকার সেই দণ্ড কার্যকর করে।

সেই একই জায়গা, একই ভবন, শুধু দৃশ্যপট বদলে গেছে। গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যা, হত্যাচেষ্টা, নির্যাতন, ষড়যন্ত্র, উসকানি ও ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলায় আজ রায় ঘোষণা হবে। এর মধ্য দিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত অপরাধের প্রথম কোনো মামলায় বিচারের রায় ঘোষণা হতে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার সদস্য ও সহযোগীরাও এই ট্রাইব্যুনালে বিচারের কাঁঠগড়ায়।

এফএইচ/এসএনআর/এমএমএআর/এএসএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow