বগুড়ার গাবতলীর নশিপুর ইউনিয়নের ছোট ইটালী গ্রামের একটি বাড়ি থেকে ৩৯টি ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে অভিযান চালিয়ে এসব ককটেল উদ্ধার করা হয়। এর আগে রোববার (২ নভেম্বর) আরও ৫টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছিল।
এ দিকে ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে আহত কারিগর আতাউর রহমান সেলিমসহ ১২ জনকে আসামি করা হয়। সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে গাবতলীর বাগবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল সাদিক গাবতলী থানায় এ মামলা করেন।
জানা গেছে, উপজেলার নশিপুর ইউনিয়নের ছোট ইটালী গ্রামের মুক্তার হোসেন ও তার স্ত্রী নাসিমা আকতার মাদককারবারি। নাসিমা বর্তমানে এক বছরের সাজায় বগুড়া জেলা কারাগারে রয়েছে। মুক্তার হোসেনের ভায়রা ভাই গাবতলীর মাঝগ্রামের নইমুদ্দিনের ছেলে বাদশা মিয়া ডাকাতদলের সদস্য। বাদশা ও মুক্তারের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। বাদশা মিয়া ডাকাতির কাজে ককটেল তৈরির জন্য কুমিল্লার মেঘনার রামপ্রসাদের চরের আতাউর রহমান সেলিমসহ ২-৩ জনকে ভাড়া করে আনেন। তারা গত কয়েক দিন ধরে মুক্তার হোসেনের বাড়িতে ককটেল তৈরি করছিলেন।
আরও জানা গেছে, রোববার বিস্ফোরিত হলে কারিগর আতাউর রহমান সেলিম আহত হন। এ সময় অন্য আসামিরা পালিয়ে যান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রথম দফায় ৫টি ককটেল উদ্ধার করে এবং তা নিষ্ক্রিয় করে। মঙ্গলবার পুনরায় অভিযান চালিয়ে একই বাড়ি বাক্সের ভেতরে দুটি ব্যাগ থেকে আরও ৩৯টি ককটেল উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত ককটেলগুলো বোম ডিসপোজাল ইউনিটের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
গাবতলী মডেল থানার ওসি সেরাজুল হক বলেন, স্থানীয় বাদশার নেতৃত্বে এ কর্মকাণ্ড চলছিল। প্রথম দিনের অভিযানে সব ককটেল উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরে পুনরায় অভিযান চালিয়ে বাকি ৩৯টি ককটেল উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে এখন পর্যন্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কাজ চলছে।

4 hours ago
6









English (US) ·