চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেছেন, সেশনজট কমানো ও সেবা বাড়ানোর মাধ্যমে জুলাইয়ের স্পিড ধারণ করবো।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জুলাই বিপ্লব স্মরণে র্যালি ও দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন না হলে আমরা আজ এ পর্যায়ে আসতে পারতাম না। জুলাইয়ের স্পিড নিয়েই আমাদের কাজ করতে হবে। এই স্পিড নিয়ে ন্যায্যতা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি দূর করতে হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রে সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করলে জুলাই আন্দোলনের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সেশনজট কমানো ও সেবা বাড়ানোর মাধ্যমে জুলাইয়ের স্পিড ধারণ করবো। আপনি একজন শিক্ষক হয়ে প্রতিটি ক্লাস সময় মতো নিয়ে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করবেন। যদি আপনার কাজ আপনি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করেন, তাহলে জুলাইয়ের লক্ষ্য অর্জিত হবে এবং দেশে বৈষম্য দূর হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, শোষণ, নিপীড়ন, গুম-হত্যার বিরুদ্ধে শহীদ আবু সাঈদ, হৃদয় তরুয়া, ফরহাদ, ওয়াসিম যে জীবন দিয়েছেন আমরা তাদের কতটুকু মূল্যায়ন ও ধারণ করতে পেরেছি? আমরা আত্মভোলা জাতি, রক্তের দাগ শুকিয়ে গেলে সব ভুলে যাই। জুলাই বিপ্লবকে সামনে রেখে পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, যতক্ষণ না পর্যন্ত একটি বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র গঠন করা যায়।
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন বলেন, জুলাইয়ে শিক্ষার্থীরা যেভাবে আন্দোলন করেছেন সেভাবে কোনো রাজনৈতিক দল আন্দোলন করতে পারেনি। যে উদ্দেশ্য নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছেন আমরা তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে পারিনি। এটা আমাদের জন্য লজ্জার। আমরা যদি তাদের স্পিড ধারণ করতে পারি তাহলেই বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে জুলাই বিপ্লব স্মরণে র্যালি শুরু হয়ে কাটা পাহাড়, শহীদ মিনার প্রশিক্ষণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।
সোহেল রানা/জেডএইচ/এমএস