শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরকারি দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় সিনিয়র স্টাফ নার্স কামরুল হাসানের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ)। সংগঠনটি হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং প্রশাসনিক ও আইনগত পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিএনএ’র জাতীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ এক বিবৃতিতে জানায়, গত ১৫ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪২১ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় সিনিয়র স্টাফ নার্স কামরুল হাসানকে কতিপয় ইন্টার্ন চিকিৎসক নামধারী ব্যক্তি ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা বিনা কারণে মারধর করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হামলাকারীরা নার্স কামরুল হাসানকে মারধর করতে করতে টেনে-হিঁচড়ে পরিচালকের কক্ষে নিয়ে যায় এবং পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালকসহ উপস্থিত কর্মকর্তাদের সামনেই তাকে ঘুষি, চড়, থাপ্পড় মারে। তবুও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো প্রশাসনিক বা আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি, যা বিএনএ অত্যন্ত নিন্দনীয় ও জঘন্য বলে উল্লেখ করেছে।
বিএনএ জানায়, এই ঘটনা শুধু নার্সদের নিরাপত্তাহীনতাই নয়, বরং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উৎসাহ যোগানোর শামিল। ঘটনার পরও দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নেওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এবং কর্মপরিবেশের সহাবস্থান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
বিএনএ’র বিবৃতিতে বলা হয়, ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় সরকারি দায়িত্ব পালনরত এক নার্সের ওপর এমন বর্বরোচিত হামলা দেশের স্বাস্থ্যখাতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। হামলায় জড়িত চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
সংগঠনটি সতর্ক করে জানায়, দ্রুত বিচার না হলে তারা ন্যায়বিচার ও পেশাগত মর্যাদা রক্ষার দাবিতে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে। বিচারে বিলম্ব হলে তার দায়ভার প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই বহন করতে হবে, বিএনএ’র জাতীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের হুঁশিয়ারি।
এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ভুল বুঝাবুঝির একটা ঘটনা ঘটেছে। এটা প্রায় সমাধানের পথে। সব পক্ষকে নিবৃত করে কাজে ফেরানো হয়েছে। তদন্ত কমিটি করে দেওয়া হয়েছে, রিপোর্ট আসলে চূড়ান্ত সমাধান হবে।
এসইউজে/এসএনআর/জিকেএস