বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বলেছে, তথাকথিত রাজনৈতিক দল নিয়ে জুলাই সনদে সই করা ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রতারণা। জুলাইযোদ্ধাদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেনের পাঠানো এক বার্তায় কেন্দ্রীয় সভাপতি রিফাত রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম এ প্রতিক্রিয়া জানান।
ওইদিন বিকেলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আয়োজনে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ সই অনুষ্ঠান হয়।
বার্তায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগেই দিনের প্রথমার্ধে ‘জুলাই শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধা’ ব্যানারে জুলাই সনদের আইনি বৈধতাসহ কয়েকটি যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনরত জুলাইযোদ্ধাদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বার্তায় বলা হয়, হামলায় চব্বিশের জুলাইযোদ্ধা আতিকুল গাজিসহ ২৭ জন গুরুতর আহত হন। একই সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য কর্তৃক জুলাইযোদ্ধাদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগও উঠেছে।
সংগঠনটি বলছে, চব্বিশের জুলাই ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানে সহস্রাধিক শহীদ ও আহত যোদ্ধার রক্তের বিনিময়ে আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। সেই সহস্রাধিক শহীদ ও আহত যোদ্ধার রক্তের বিনিময়েই আজকের বহুল আকাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্রীয় সংস্কারের দলিল ‘জুলাই সনদ’। রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা এই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে অভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের ওপর হামলা শুধু নিন্দনীয়ই নয়; বরং এটি জুলাইয়ের রক্তের সঙ্গেও বিশ্বাসঘাতকতা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতারই বহিঃপ্রকাশ।
বার্তায় সংগঠনটি জানায়, আমরা লক্ষ্য করেছি, ওই অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের সদস্য, আহত যোদ্ধা এবং ছাত্র প্রতিনিধিদের উপস্থিতি যথাযথভাবে নিশ্চিত করা হয়নি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মনে করে, শুধু ‘জাতীয় ঐক্য’র নামে জুলাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের উপেক্ষা করে কিছু তথাকথিত রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে সনদে স্বাক্ষর কার্যক্রম সম্পন্ন করা জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার সঙ্গে চরম প্রতারণা।
শহীদ পরিবার, আহত যোদ্ধা, ছাত্র প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বসেই যেন ‘জুলাই সনদ’র আইনি বৈধতা এবং ‘নোট অব ডিসেন্ট’ সংক্রান্ত সমস্যার গ্রহণযোগ্য সমাধান অবিলম্বে নিশ্চিত করা হয়, সেজন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
এনএস/এমকেআর/এএসএম